কালমেঘ গাছের পাতাকেই মানুষ চিরতা নামে ডাকে। চিরতার শেকড় তেতো হলে ও এর ফল মিষ্টি। এই গাছের পাতা শুকিয়ে পানির সঙ্গে ভিজিয়ে সেই পানি পান করলে আপনি পাবেন অসংখ্য উপকারিতা।
চলুন জেনে চিরতায় কি কি গুনাবলি আছে চিরতায়-
* টাইফয়েড জ্বর হওয়ার পর আবারও অনেকের প্যারাটাইফয়েড জ্বর হয়। তাই টাইফয়েড জ্বরের পরে চিরতার রস খেলে প্যারাটাইফয়েড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
* চিরতার রস কৃমিনাশক।
* চিরতা তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে
* শরীরের ঝিমুনিভাব, জ্বরজ্বর লাগা দূর করে চিরতার রস।
* নিয়মিত তিতা বা চিরতার রস খেলে ফুড পয়জনিং হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
* চিরতা রক্ত পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে।
* চিরতার জল লিভারকে পরিষ্কার রাখে। এছাড়া লিভারের বিভিন্ন সমস্যা যেমন লিভারে চর্বি জমে যাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ফ্যাটি লিভার ও আরও অন্যান্য সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
* চিরতা বদহজম, অ্যাসিডিটি ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
* রক্তশূন্যতা কমাতে চিরতার পাতা খুবই উপকারী। কারণ চিরতার জল রক্ত উৎপাদনে সাহায্য করে।
* চিরতা নানা রকম সংক্রামক অসুখ-বিসুখের হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করবে। কারণ চিরতায় রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
* চিরতার রস রক্তে চিনির মাত্রা কমিয়ে দেয়। আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী হয়ে থাকেন, তাহলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিতভাবে চিরতার রস পান করুন। এতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
* চিরতা ডাল-পাতাসহ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন পুরো ১দিন। পরের দিন সেই পানি ভালো করে ছেঁকে অল্প অল্প করে মাথায় লাগান। ১ ঘণ্টা পরে গোসল করে ফেলুন। এভাবে ১ দিন পর পর ১ সপ্তাহ ব্যবহার করলে চুল পড়া রোধ করতে পারেন আপনি সহজেই।
* গর্ভাবস্থায় কিংবা কোনো অসুখ-বিসুখে ক্রমাগত বমি হতে থাকলে চিরতা গুঁড়ো করে এক গ্লাস পানির সঙ্গে একটু চিনি মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়ে যায়।
* ত্বকে এলার্জি, খোসপাঁচড়া কিংবা কোনো ঘা হলে পরিমাণ মতো চিরতা সরিষার তেল দিয়ে ভেজে নিন। এবার সেটা ঠাণ্ডা করে অল্প অল্প করে চুলকানির জায়গায় লাগিয়ে দিন।
* উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল, উচ্চরক্তচাপ, মুটিয়ে যাওয়া মানুষের নিয়মিত চিরতার পানি পান করা উচিত।
স/এষ্