ঢাকারবিবার , ১১ মে ২০২৫
  1. Bangla
  2. chomoknews
  3. English
  4. অপরাধ
  5. অভিনন্দন
  6. আমাদের তথ্য
  7. কবিতা
  8. কর্পরেট
  9. কাব্য বিলাস
  10. কৃষি সংবাদ
  11. খুলনা
  12. খোলামত
  13. গল্প
  14. গাইড
  15. গ্রামবাংলার খবর
আজকের সর্বশেষ

বায়ুত্যাগ ও গন্ধ থেকে যে মেশিন সম্ভ্রান্ত পরিবারকে সামাজিক মর্যদা বাড়াতো

চমক নিউজ বার্তা কক্ষ
মে ১১, ২০২৫ ৮:২৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বায়ুত্যাগ ও গন্ধ থেকে যে মেশিন সম্ভ্রান্ত পরিবারকে সামাজিক মর্যদা বাড়াতো

চমক ডেস্ক ।। ১৯-শতকের ইতালিতে তুমুল জনপ্রিয় মেশিন ছিল — ভ্যানভেরা (vanvera) বিশেষ করে, “ভ্যানভেরা” ব্যবহৃত হতো একটি সভ্য-উদ্দেশ্যে— জৈব-বায়ুত্যাগ, খাঁটি বাংলায় ‘পাদ’ ????-এর সুললিত শব্দ ও বিমোহিত ঘ্রাণ থেকে পারিপার্শ্বিক পরিবেশকে মুক্ত রাখতে।

এই বস্তুর উৎপত্তি মূলত প্রাচীন মিশর এবং রোমে, প্রায় একইসাথে, সুপ্রাচীন কালে। তখন এর নাম ছিল— প্রাল্লো (prallo). ফেরাউন ও সম্রাটদের দীর্ঘসময় ধরে চলমান উৎসবগুলোয় প্রাল্লো ব্যবহৃত হতো পাদের ধ্বনি ও গন্ধ লুকিয়ে পরিবেশকে স্বচ্ছন্দ রাখার দায়িত্বে।

প্রাল্লোর গঠন ছিল এরকম— ডিম্বাকৃতির সিরামিক বা কাঠের ফাঁপা গোলক, একপ্রান্তে মাউথপিসের মতো অংশ যেটা নিতম্বগুহার মুখে চাপা থাকতো, অপরপ্রান্ত উন্মুক্ত যেখানটা দিয়ে শব্দ ও ঘ্রাণ বেরিয়ে যেতো ‘প্রক্রিয়াজাত’ হয়ে। প্রক্রিয়াজাত বলতে— বিকট শব্দটি বেরুতো পথপরিক্রমার ফলস্বরূপ দুর্বল-ধ্বনি হয়ে, এবং দুর্গন্ধ বেরুতো সুঘ্রাণ হয়ে, কারণ গোলকটির ভিতরে রাখা হতো সুঘ্রাণযুক্ত ভেষজ লতাপাতা।

মিশর ও রোমের বাইরে প্রাল্লো জনপ্রিয় হতে পারেনি, ফলে একসময় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিলো বস্তুটি। কিন্তু ১৬-শতকের দিকে এসে, এটি ভ্যানভেরা নাম নিয়ে ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় হতে শুরু করলো ভেনিসের সম্ভ্রান্তশ্রেণিতে। ২-ধরণের ভ্যানভেরা ছিল ভেনিসেঃ

একটির নাম— ভ্যানভেরা দা পাসেজ্জিয়ো, যেটা তৈরি হতো লেদার দিয়ে। এটি বহনযোগ্য ভ্যানভেরা। এর একপ্রান্ত নিতম্বদেশের সাথে আরামসে আটকে থাকতো, এবং এটায় একটি নাতিদীর্ঘ টিউব লাগানো ছিল যেটির শেষপ্রান্তে একটি ব্লাডার যুক্ত ছিল পাদবায়ু সংরক্ষিত হওয়ার জন্য।

ব্লাডারটায় একটি ছোট্ট ছিদ্র থাকতো, ছিদ্রটিকে খোলা-বাঁধার জন্য ছিল একটি সুতা। সুতায় টান দিয়ে ছিদ্রটি উন্মুক্ত করে পাদটুকু দূরে গিয়ে ফেলে আসা হতো সুযোগ এলেই। এই ভ্যানভেরা স্কার্ট বা প্যান্টের ভিতরে পরা হতো, থিয়েটার বা সামাজিক অনুষ্ঠানাদিতে যাওয়ার সময়।

দ্বিতীয় বায়ুত্যাগী-মেশিনটার নাম ছিল— ভ্যানভেরা দা অ্যালকোভা। অ্যালকোভার টিউবটি ছিল লম্বা এবং এর প্রান্তে ব্লাডার থাকতো না। এটি ঘরে ব্যবহার করা হতো, বহনযোগ্য ছিল না। দীর্ঘ টিউবটির শেষপ্রান্ত জানালা দিয়ে বাইরের দিকে বের করে রাখা হতো ঘ্রাণ চলে যাওয়ার জন্য। এই ভার্সনটি প্রধানত পুরুষেরা ব্যবহার করতেন, বিয়ের প্রথম রাতে টেনশনে-অস্থিরতায় পেদেটেদে দেওয়ার পরে অস্বস্তিকর ঘ্রাণ-শব্দ এড়িয়ে চলার জন্য।

২০-শতকের শুরুর দিক থেকে ভ্যানভেরার ব্যবহার কমে গেলো, সম্ভ্রান্ত-শ্রেণির পোশাকের ধরণ পাল্টে যাওয়ার ফলস্বরূপ; এবং পারফিউমের উন্নতির ফলে। কিন্তু, পাদ-শিল্পের মোহময়তাকে আমরা ছেড়ে থাকতে পারলাম কই!