পহেলা বৈশাখ মানেই রঙিন উৎসবে বাঙালির প্রাণের সঞ্চার- কৃষক লীগ নেতা নাসির
মোল্লা তানিয়া ইসলাম তমাঃ শুভ নববর্ষে বিদায়ী বছরের জীর্ণ পুরাতন, বিষাদঘন স্মৃতি ভেসে যাক । ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলে প্রাণে প্রাণে লাগুক শুভ কল্যাণের দোলা, ‘নবআনন্দ বাজুক প্রাণে’। মঙ্গলকামনায় নববর্ষের প্রথম প্রভাতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বজনীন আনন্দ-উৎসবে মেতে উঠে মানুষ ।
দেশবাসী সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, সুন্দর ও কল্যাণের জয়গানে স্বাগত জানায় নববর্ষ উল্লেখ্য করে বাংলা নতুন বছরে দেশবাসীর প্রতি অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের তুরাগ থানা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন নাসির । তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব।প
হেলা বৈশাখকে নববর্ষ হিসেবে পালনের রেওয়াজ মোগল সম্রাট আকবরের সময় থেকে । আরবি বা হিজরি চান্দ্রবর্ষের সৌরবর্ষ সংস্করণ হলো বাংলা সন ।
তারপর থেকে বছরের শেষ দিন অর্থাৎ ৩০ চৈত্রকে চৈত্রসংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখকে নববর্ষ হিসেবে পালন করা হয় সাড়ম্বরে । নববর্ষ পালন মানব সভ্যতারই অনুষঙ্গ। মানব সমাজে বর্ষবরণ উৎসবের শুরু সম্ভবত প্রায় চার হাজার বছর আগে । মনে করা হয়, ব্যাবিলনে বর্ষবরণের সূত্রপাত ঘটে । তুরাগ থানা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন নাসির আরও বলেন, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা পাড়ের মানুষও হাজার হাজার বছর ধরে বর্ষবরণ পালন করে আসছে ।
বাঙালির নববর্ষ আসে কালবৈশাখীর ঝড়ো হাওয়ার মাতম তুলে । জরাজীর্ণ যা কিছু তাকে উড়িয়ে দিয়ে নববর্ষে নতুনের অভিষেক হয় । নববর্ষে বাঙালি অতীতের দুঃখ-বঞ্চনা-ব্যর্থতা ভুলে সামনে এগুনোর শপথ নেয় । বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ- সবখানেই রয়েছে পহেলা বৈশাখের হার না মানা প্রত্যয় ।
নববর্ষ বাঙালির সর্বজনীন সংস্কৃতির বাহন বলে বিবেচিত হচ্ছে যুগ যুগ ধরে । হালখাতা, বৈশাখী মেলা এবং শহুরে পান্তা-ইলিশের রমরমা- আধুনিকতার এই যুগেও নিজেদের বাঙালি হিসেবে ভাবার সুযোগ করে দেয় । একইসঙ্গে বাংলা নববর্ষে সবার উন্নতি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন তুরাগ থানা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন নাসির ।