ঢাকারবিবার , ১৮ আগস্ট ২০১৯
  1. Bangla
  2. chomoknews
  3. English
  4. অপরাধ
  5. অভিনন্দন
  6. আমাদের তথ্য
  7. কবিতা
  8. কর্পরেট
  9. কাব্য বিলাস
  10. কৃষি সংবাদ
  11. খুলনা
  12. খোলামত
  13. গল্প
  14. গাইড
  15. গ্রামবাংলার খবর
আজকের সর্বশেষ

সালথায় কদর বেড়েছে পাটকাঠির

nayem ahmed
আগস্ট ১৮, ২০১৯ ৪:১০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সালথায় কদর বেড়েছে পাটকাঠির

আবু নাসের হুসাইন, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের সালথায় এবছর পাটের উৎপাদন ভাল হলেও পাটের মূল্য কম হওয়ায় কদর বেড়েছে পাটকাঠির। পাট চাষীরা বাজার দরের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন পাটকাঠি। এদিকে পাটের মুল্য কম থাকায় ন্যায্য মুল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পাট চাষীরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চাষীদের পাট উৎপাদনে বিঘা প্রতি (৫২ শতক) জমিতে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে, সে পরিমান পাটের মূল্য পাচ্ছে না কৃষকেরা। তাই পাটের খরচ পুষিয়ে নিতে পাটকাঠির উপর গুরুত্ব দিচ্ছে চাষীরা।

আগে দেশীয় বাজারে পাটকাঠি প্রক্রিয়াকরণে তেমন কোন ফ্যাক্টরি ছিলো না। নামমাত্র মূল্যে পার্টেক্স কোম্পানিগুলো বিভিন্ন ধরনের বোর্ড তৈরির জন্য পাটকাঠি ক্রয় করতেন।

আর এই পাটকাঠির মন্ড ব্যবহার করে হার্ডবোর্ডের মতো মূল্যবান জিনিস তৈরি করতেন। বর্তমানে গ্রাম পর্যায় থেকে পাটকাঠি কেনার উদ্যোগ নিয়েছে বিদেশীরা। যার প্রেক্ষিতে পাটের মূল্য কম থাকলেও চাষীরা পাটকাঠির দিকে বেশি নজর দিচ্ছেন।

সম্প্রতি তিন বছর আগে ৬শ’ শতক জমি নিয়ে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের মীরকান্দি গ্রামে পাটকাঠি প্রক্রিয়াকরণের একটি শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। এখানে চায়না থেকে আগত “বাংলাদেশ হোল্ডিং লিমিটেড কোম্পানি” নামে একটি কোম্পানি পাটকাঠি পুড়িয়ে ছাঁই উৎপাদণের কাজ শুরু করেছেন।

কোম্পানির পরিচালক জিং লিউ এবং লিউ রুই এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, গ্রাম অঞ্চলের কৃষকের নিকট থেকে ন্যায্যমূল্যে পাটকাঠি ক্রয় করা হচ্ছে। এখান থেকে পাটকাঠি পুড়িয়ে প্যাকেটজাত ছাঁই চায়নাতে রপ্তানি করা হয়।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পাট চাষীরা জানান, এবার পাটের যে দাম পাওয়া যাচ্ছে তাতে কৃষকদের লাভ হচ্ছে না। কিছুটা পুষিয়ে নিতে বেশি করে পাটকাঠির যত্ন নিচ্ছে চাষীরা।

এই পাটের মৌসুমে এক মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ১শ’ টাকা। আর ১শ’ আঁটি পাটকাঠি বিক্রি করছে ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা। মণ প্রতি পাট আবাদে সার, সেচ, নিড়ানি, কাটা ও আঁশ ছাড়ানো বাবদ ব্যায় হয়েছে ২ হাজার ২শ’ থেকে ২ হাজার ৩শ’ টাকার মতো।

প্রতি মণ পাটের দাম ৩হাজার টাকা হলে কৃষকদের কিছু লাভ হতো। তা নাহলে আগামী বছরে এই উপজেলায় পাট চাষ কমে যাওয়ার সম্ভবনা আছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মাদ বিন ইয়ামিন বলেন, এবছর পাটির উৎপাদন খুব ভাল হচ্ছে। পাটির মূল্যে কিছুটা কম থাকায় পাটকাঠির কদর বেড়েছে।

 

স/এন