স্মৃতিতে ২৬শে মার্চ ও মুক্তিযুদ্ধ- আলহাজ মোঃ সাদেকুর রহমান
মোল্লা তানিয়া ইসলাম তমাঃ ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন ।
তার আগে ৭ মার্চের চূড়ান্ত ঘোষণায় প্রস্তুত জাতি মুহূর্তমাত্র বিলম্ব না করে ঝাঁপিয়ে পড়ে শত্রুসেনাদের প্রতিরোধে ।পাকিস্তানিদের অব্যাহত শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ।
সোমবার (২৫শে মার্চ) প্রতিবেদকের সাথে একান্ত আলাপ কালে উপরোক্ত কথা গুলো বলছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের তুরাগ থানা আওয়ামী- স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ও তুরাগ যুবকল্যাণ সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ মোঃ সাদেকুর রহমান সাদেক ।
এসময় তিনি আরও বলেন, সত্তরের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে । কিন্তু পাকিস্তানিরা বাঙালির হাতে ক্ষমতা না দিয়ে শুরু করেছিল বাঙালি নিধন । নয় মাস ধরে চালিয়েছে নিষ্ঠুর গণহত্যা । ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেন । স্বাধীনতা যে কোনো জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন । বাংলাদেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রেও তা এক মহাসত্যি ।
এ দেশের মানুষ স্বাধীনতা অর্জন করেছে রক্তস্নাত পথ ধরে । স্বাধীনতার জন্য ৩০ লাখ মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে । ১৯৭০-এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশভাবে জয়ী আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকার করে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা । ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তারা রাতের আঁধারে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঘুমন্ত মানুষের ওপর । শুরু হয় ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরতম গণহত্যা ।
জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে ২৬ মার্চের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন । ডাক দেন সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের । দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধ শেষে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্তি বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় । আর এর মাধ্যমেই অর্জিত হয় মুক্তিযুদ্ধের মহিমান্বিত বিজয় ।
আলহাজ মোঃ সাদেকুর রহমান সাদেক আরও বলেন, মহান স্বাধীনতার দিনে আমি স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে । স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং পাকিস্তানি হানাদারদের দ্বারা নিগৃহীত দুই লাখ মা-বোনকে । জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ‘জিরো টলারেন্স । ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছেন ।
২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ । রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর শান্তির নীতি অনুসরণ করেন ।
স/বি