ঢাকাশুক্রবার , ৩ নভেম্বর ২০২৩
  1. Bangla
  2. chomoknews
  3. English
  4. অপরাধ
  5. অভিনন্দন
  6. আমাদের তথ্য
  7. কবিতা
  8. কর্পরেট
  9. কাব্য বিলাস
  10. কৃষি সংবাদ
  11. খুলনা
  12. খোলামত
  13. গল্প
  14. গাইড
  15. গ্রামবাংলার খবর
আজকের সর্বশেষ

সোহাগ রেজার লেখা গানে কন্ঠ দিলেন রাজীব 

abu naser
নভেম্বর ৩, ২০২৩ ৭:০৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সোহাগ রেজার লেখা গানে কন্ঠ দিলেন রাজীব

সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি।। সোহাগ রেজা’র লেখা গানে এবার কন্ঠ দিলেন ২০০৫ সালে (প্রথমবারের মতো) অনুষ্ঠিত ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার্স আপ কণ্ঠশিল্পী মিজান মাহমুদ রাজীব। বর্তমানে দেশে যে-ক’জন শিল্পী কণ্ঠের জাদুতে শ্রোতাদের মোহিত করে রেখেছেন, তাদের মধ্যে রাজীব অন্যতম ।

“যখন আমি থাকবো না/তখন তুমি ভেবে নিও/
আমি আছি…./আমি আছি.. ঐ দূর/দূরের আকাশে।

কন্ঠশিল্পী রাজীব বলেন ” সোহাগ রেজা’র লেখা চমৎকার কথা মালায় কন্ঠ দিতে গিয়ে যেন হারানো স্মৃতিতে ফিরে গেলাম এমং তৃপ্তিদায়ক কিছু অনুভূত হলো, হৃদয়ে যেন প্রশান্তির ছোঁয়া লেগে গেল।
এই ধরনের গান গাইতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি! স্যাড রোমান্টিক ধাঁচের এই আধুনিক গানটিতে প্রেম-ভালোবাসা, মোহ, আবেগ মিশ্রিত ! আশাকরি শ্রোতাদের স্মৃতিপটে একটু হলেও নাড়া দিয়ে যাবে।

গানটির গীতিকার মো. তাজুল ইসলাম সোহাগ তাঁর লেখা গান নিয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে জানান- আজ থেকে প্রায় বিশ বছর আগে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে অনার্সে পড়াকালীন কবি জসীমউদ্দীনের বাড়ির পাশে জসীম মেলার জন্য নির্ধারিত মাঠের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর কূলে বসে গোধূলি বেলায় গানটি লেখা হয়েছিল! সে এক দারুণ অনুভূতি! আশা করি শ্রোতারা গানটি শুনে স্মৃতিময় সেই অনুভূতির সাগরে সাঁতার কেটে অসাধারণ ভালোলাগা উপভোগ করতে পারবেন।

গানটির দর্শক প্রিয়তার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে গীতিকার সোহাগ বলেন, “অনেক ভেবে-চিন্তে নিজের গভীর অনুভূতিকে সহজ-সরল শব্দে কথাগুলো প্রকাশ করার আন্তরিক চেষ্টা করা হয়েছে, যা গায়কী, সুর ও ছন্দের মিশ্রণে গানটিকে ভিন্ন মাত্রা যুক্ত হয়েছে।

যারা বেশ স্মৃতি কাতর ও স্যাড রোমান্টিক এবং  সুরেলা গান পছন্দ করেন তাদের মন ছুঁয়ে যাবে এমনকি বিভিন্ন শ্রেণির শ্রোতাদের হৃদয়ে স্হান করে নিবে বলে আমার বিশ্বাস”।

ইতোপূর্বে দেশের ‘বাংলা সংগীতের কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী, সংগীতশিল্পী আগুন, সংগীতশিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরা, সালমা জাহান এবং তরুণ প্রজন্মের রন্টি দাশ, রাজা বশীর, হুমায়রা বশীর, আফসানা ফেরদৌস রুনা, বাবু সরকার, প্রণব চক্রবর্তী পার্থ, স্বীকৃতি, ক্লোজ-আপ খ্যাত শিল্পী নিশীতা বড়ুয়া সহ অন্যান্য জনপ্রিয় শিল্পীরা আমার লেখা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন— এটা আমার জন্য খুবই আনন্দের ব্যাপার, সে সাথে প্রিয় শ্রোতাবৃন্দ ও শুভাকাঙ্খীদের জন্যও অন্যরকম ভালোলাগার বিষয়। আমার লেখা এমন কোন গান যদি শ্রোতাদের মনে কিছুটা হলেও দোলা দিয়ে যায় তবেই সকল প্রচেষ্টা সার্থক হবে”।

সোহাগের লেখা গান বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হলেও বেশির ভাগ গানই বেতার থেকে প্রচারিত হয়। এছাড়া গানগুলো বাংলাদেশ বেতার এ্যাপে, বিভিন্ন এফ.এম রেডিওতে প্রচারিত হয় বিধায় দেশ-বিদেশের বাংলা ভাষাভাষী বিভিন্ন শ্রেণির শ্রোতারা তা খুব সহজে উপভোগ করতে পারেন।

বাংলাদেশ বেতার ঢাকায় সম্প্রতি এই চমৎকার গানটি রেকর্ড করা হয়। গানটির মাস্টারিংয়ের কাজটি শেষ হলেই শ্রোতাদের জন্য দ্রুত প্রচার করা হবে বলে জানা যায়।


ভীষণ স্যাড রোমান্টিক ধাঁচের এই গানটিতে সুরারোপ করেছেন  আলী আফতাব লনি , তত্ববধানে ছিলেন বাংলাদেশ বেতার ঢাকা কেন্দ্রের উপ-আঞ্চলিক পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান , সার্বিক নির্দেশনায় ছিলেন মোহাম্মদ নাছিমুল কামাল ।

গীতিকার মো. তাজুল ইসলাম সোহাগ ১৯৮১ ইং সালে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. বেলায়েত হোসেন, মাতা কোহিনুর বেগম। চার ভাই-বোনের মধ্যে সোহাগ মেঝ।

বর্তমানে তিনি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির পাশা-পাশি অবসর সময়ে বাংলাদেশ বেতার ঢাকা কেন্দ্রে ও বেসরকারী টেলিভিশন মাইটিভিতে সংবাদ উপস্থাপনা করে থাকেন।

স/এষ্