ঢাকারবিবার , ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. Bangla
  2. chomoknews
  3. English
  4. অপরাধ
  5. অভিনন্দন
  6. আমাদের তথ্য
  7. কবিতা
  8. কর্পরেট
  9. কাব্য বিলাস
  10. কৃষি সংবাদ
  11. খুলনা
  12. খোলামত
  13. গল্প
  14. গাইড
  15. গ্রামবাংলার খবর
আজকের সর্বশেষ

রাষ্ট্র সংস্কার ও জনগণের প্রত্যাশা

চমক নিউজ বার্তা কক্ষ
সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪ ৬:৩৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাষ্ট্র সংস্কার ও জনগণের প্রত্যাশা

—ওয়ালিয়ার রহমান

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফসল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ইতোমধ্যে নতুন বাংলাদেশে বিশ্ববরেণ্য নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ এক মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হয়েছে। এই সরকারের কাছে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা ও প্রত্যাশা অনেক। ন্যায়ভিত্তিক এবং দুর্নীতিমুক্ত কার্যকরী শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জও রয়েছে।

এর মধ্যে রাষ্ট্রের ভেঙে পড়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কার করা, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার সংরক্ষণ, সমাজের সকল শ্রেণির প্রতি ন্যায়পরায়ণতা, স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার চর্চা, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা, বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার ইত্যাদি অন্যতম। এত সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেল কঠিন হলেও ছাত্র-জনতা এবং বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশাজীবী মানুষের সহযোগিতা পেলে অসম্ভব নয়।

‘সংস্কার’ কথাটির অর্থ হলো মেরামত করা, সংশোধন করা। বিশেষ করে আমাদের তরুণদের প্রত্যাশা এটাই। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মেরামত বা সংস্কারের যে প্রয়োজন, তার জন্য ইতিহাস ঘাঁটার প্রয়োজন নেই। হাসিনা সরকারের ১৬ বছরের শাসন এবং গণতন্ত্রের নামে ভয়াবহতা উদাহরণ হয়ে থাকবে। এ কারণে রাষ্ট্র সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। আগামী দিনে নির্বাচিত দলীয় সরকারগুলো যাতে দানবীয় শক্তিতে পরিণত না হয় এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র যাতে প্রকৃত গণতান্ত্রিক ও গণপ্রজাতন্ত্র হয়ে ওঠে।

কয়েক দিন আগে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সংস্কারের মাধ্যমে জাতি হিসেবে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করতে চান। আর সংস্কার করার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ছয়টি কমিশন গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব কমিশনের কাজ পরিচালনার জন্য বিষয়ভিত্তিক অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে ছয়জন বিশিষ্ট নাগরিককে কমিশনগুলো পরিচালনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা জানান, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে কাজ করবেন সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শাহদীন মালিক। পূর্ণাঙ্গভাবে গঠিত হওয়ার পর কমিশন আগামী ১ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। আশা করবো রাষ্ট্রকে পরিশুদ্ধ করতে হলে, সত্যিকার সংস্কার করতে হলে যত দ্রুত সম্ভব কাজের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করুন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা রাষ্ট্রীয় সংস্কারের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হোক। তবে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক সরকার যথেষ্ট নয়।
ইউএনডিপি এর মতে, সুশাসন হল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক কর্তৃত্বের বিধিবদ্ধ চর্চা, যার মাধ্যমে একটি দেশের উন্নয়ন কার্যাবলি পরিচালনা করা হয়।

বিশ্ব ব্যাংকের মতে, সুশাসন চারটি প্রধান স্তম্ভের উপর নির্ভরশীল। এগুলো হলোÑ দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছতা, আইনি কাঠামো এবং অংশগ্রহণ। তবে কার্যকরী সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আরো কিছু বিষয় রয়েছে। যেমন-দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ, আইনের শাসন, স্বাধীন বিচার বিভাগ, মানবাধিকার সংররক্ষণ, সমাজের সকল স্তরে বিশেষত নারী-পুরুষের মধ্যে সমতা, স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার চর্চা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সম্পদের বিকেন্দ্রীকরণ ইত্যাদি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে কিছু প্রত্যাশাÑ

১. শেখ হাসিনা সরকারের উপর জনগণের অনাস্থার একটি অন্যতম কারণ ছিল দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি। বাজার সিন্ডিকেট ছিল একেবারেই সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রী সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে য়ায়।

এই বাজার ব্যবস্থা এখনো আগের মতই রয়ে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে কঠোর আইনি ব্যবস্থার প্রয়োগ ঘটানো। বাজারে তদারকি বাড়ানো এবং অপরাধীদের আইনের আওতা এনে শাস্তি দেওয়া। যত দ্রুত সম্ভব দ্রব্যমূল্যের দাম কমিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করা।

২. গুণগত শিক্ষা ছাড়া একটি জাতির উন্নতি সম্ভব নয়। বিগত ১৬ বছরে শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। পাঠ্যপুস্তকেও হয়েছে অতিমাত্রায় দলীয়করণ। ফলে মানসম্মত শিক্ষা এবং কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে বিগত সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের দাবি একটি মানসম্মত এবং টেকসই ও যুগোপযোগী আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করা। যেন কোনো দলীয় সরকার ক্ষমতায় এসে বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারেন।

ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করেছেন কিন্তু শিক্ষা সংস্কারের জন্য এখানো কোনো কমিশন গঠন করেননি। অথচ সরকারের উচিত ছিল সবার আগে শিক্ষা খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া।

তবে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। পদত্যাগকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ দিয়ে শূন্যতাপূরণ, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি/ ম্যানেজিং কমিটি ভেঙে দিয়ে অ্যাডহক কমিটি গঠন ইত্যাদি। তবে এগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নৈরাজ্য দূরীকরণে যথেষ্ট নয়। রাজনৈতিক ব্যক্তিরাই ঘুরে ফিরে আবার কমিটিতে স্থান পাচ্ছেন।

এক্ষেত্রে আরো নিরপেক্ষ এবং গুণী ব্যক্তিদের স্থান দিতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষকদের দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। ছাত্র রাজনীতির ক্ষেত্রেও সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ১৮ বছর বয়স না হলে কোন শিক্ষার্থী কোন দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে না এমনও পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। তবে নেতৃত্ব বিকাশ ও গণতান্ত্রিক চর্চা গতিশীল রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ গঠনে কার্যকারী পদক্ষেপ নিতে হবে।

প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত দেশের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাম্প্রতিক এক জরিপে এমন তথ্য জানা গেছে।

জরিপের তথ্য মতে, বর্তমানে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করছে ৪৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। বাকি ৫৩ দশমিক ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ লেখাপড়া করে। আর এমপিও বহির্ভূত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে ১৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। এর বাইরে উপানুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠানে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করে। আর

মাধ্যমিক স্তরের ৯৪ শতাংশ শিক্ষার্থী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। অথচ সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন কাঠামোর মধ্যে বিস্তার ফারাক রয়েছে। গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে বিরাজমান বেতন বৈষম্য দূর করা আবশ্যক।

৩. নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৮ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এ প্রতিষ্ঠানটি গঠিত হয়। বিগত ১৬ বছরের শাসন আমলে এই প্রতিষ্ঠানটি পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছে। যা আইয়ুব খানের শাসনামলের প্রহসনমূলক মৌলিক গণতন্ত্রকেও হার মানায়। আন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে কাজ করতে হবে। দলীয় সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়। জনগণের ভোট ছাড়া সরকার গঠনের পথ চিরতরে বন্ধ করতে হবে।

৪. সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা সুশাসন। সুশাসন বাস্তবায়ন করতে হলে কাঙ্খিত সেবা জনগণের কাছে দ্রুত পৌঁছে দিতে হবে। এজন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, দক্ষ এবং সৎ প্রশাসন দরকার। সততার সঙ্গে সেবা দেয়ার মানসিকতা না থাকলে জনগণের ভালোবাসা অর্জন অসম্ভব। এজন্য একটি সার্চ কমিটির মাধ্যম দক্ষ দায়িত্বশীল নৈতিকভাবে শক্তিশালী এবং দেশপ্রিমক ব্যক্তিদের খুঁজে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে দেয়া যেতে পারে। কাজটি কঠিন হলেও অসাধ্য নয়।

৫. দেশের উন্নয়ন এবং সুশাসনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হলো দুর্নীতি। ব্যক্তি থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি দূর করতে হবে। রাজনীতিবিদ এবং আমলারা দুর্নীতিপরায়ন হলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা স্বপ্নই রয়ে যাবে। বিগত সরকারের আমলে অতিমাত্রায় দলীয়করণ, দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতির কারণে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ভেঙে পড়ে এবং কাক্সিক্ষত সেবা ব্যাহত হয়। পত্র-পত্রিকা বা মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গঠন এবং পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরে এনে আর্থিক খাতে গতিশীলতা আনতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।

৬. অতিমাত্রায় দলীয়করণ এবং সীমাহীন দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর উপর জনগণের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে শুধু বদলি বা পদোন্নতি না দিয়ে দ্রুত এই বাহিনীকে সংস্কার করে রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা উন্নতি করা জরুরি।

৭. আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সরকারের অন্যতম আশু করণীয়। এ লক্ষ্যে আইন ও বিধি-বিধানের কঠোর ও নিরপেক্ষ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। সন্ত্রাসী ও আইন-শৃঙ্খলার প্রতি হুমকি এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে, তারা যে দলেরই হোক না কেন, যথাযথ আইনসম্মত ব্যবস্থা তড়িৎ গতিতে নিতে হবে।

৮. রাজনৈতিক দল গণতন্ত্রের ইঞ্জিন বা চালিকাশক্তি। গণতান্ত্রিক, আর্থিকভাবে স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ রাজনৈতিক দল ছাড়াও গণতন্ত্র কার্যকর হতে পারে না। তাই রাজনৈতিক দলের সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া এবং এজন্য আইন প্রণয়ন করা আবশ্যক।

৯. পত্র-পত্রিকা বা মিডিয়া থেকে জানতে পেরেছি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের অনেকে অর্থের অভাবে ভালো চিকিৎসা নিতে পারছেন না। চিকিৎসার জন্য কারো কারো পরিবারের শেষ সম্বলটুকুও বিক্রি করতে হচ্ছে। ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের পরিবার এবং আহতের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করতে হবে।

সবশেষে বলবো, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। দেশ ও জাতির স্বার্থে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এ সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। এখানে প্রেম মহানুভবতা বা উদারতা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। সততার সঙ্গে দেশের উন্নয়নে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। বিশ্বাস আছে বিশ্ববরেণ্য নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটা যৌক্তিক সময় নিয়ে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশিত সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।

লেখক: শিক্ষক ও সাংবাদিক

স/এষ্