মেট্রেরেলে চড়তে যে সাবধানতা অবলম্বন করবেন
প্রথমবার মেট্টোরেল চড়ে সততার পুরস্কার ৪০ টাকা জরিমান।
মঙ্গলবারই প্রথম মেট্রোরেলে চড়লাম মতিঝিল থেকে। সিক্ত হলাম ভালো-মন্দের মিশ্র অনুভূতিতে।
যেহেতু প্রথম দিন, সব কিছুই জিজ্ঞেস করে করে করতে হয়েছে। গন্তব্য উত্তরা ৪ নম্বার সেক্টর। টিকিট কাটার সময়ই তাই জিজ্ঞেস করলাম কোথায় নামতে হবে। দায়িত্বরত ব্যক্তি জানালেন উত্তরা উত্তর স্টেশন। ৫০০ টাকার নোট দেয়ার পর তিনি ভুলে টিকিটসহ খুচরা ৫০০ টাকাই ফেরত দিলেন। আমি জানালাম আপনিতো টিকিটের দামই রাখেননি।
উনি তখন ১০০ টাকা চেয়ে নিলেন। তারপর স্বপ্নের মেট্রোরেলে চড়ে বসলাম। কেমন জানি বিদেশ বিদেশ মনে হচ্ছিল। সিমসাম পরিবেশ। যাত্রীরা নিয়ম মেনে উঠছেন,নামছেন। কোনো হই হুল্লুড় নেই। এভাবে যথা সময়েই চলে আসলাম উত্তরা উত্তর স্টেশনে। এরপরই পড়লাম বিড়ম্বনায়।
যাত্রীরা টিকিট পাঞ্চ করে বের হয়ে যাচ্ছেন। কারো কারো টিকিট মেশিন নিচ্ছিল না। তাদেরকে পাশেই কাউন্টারে পাঠানো হচ্ছিল। এক পর্যায়ে আমিও একই সমস্যায় পড়লাম। আমাকেও সেখানে যেতে হলো। কম্পিউটারে চেক করে জানানো হলো আমার ৬০ টাকার টিকিট। আরো ৪০ টাকা দিতে হবে। আমি অবাক হয়ে গেলাম। পুরো ঘটনা দায়িত্বরত ব্যক্তিকে জানালাম।
তিনি তার ডিসপ্লে মেশিন দেখিয়ে বললেন,,’ আপনি টাকা চেক করে নিতে পারতােন। ‘ তাকে জানালাম এটা আমি জানতাম না। সবচেয়ে লক্ষনীয় বিষয় ছিল মতিঝিল স্টেশনে আমার সামনে যে কয়জন যাত্রী ছিলেন তাদের কাউকে দেখিনি টিকিট করার সময় ডিসপ্লের দিকে খেয়াল করতে। আবার সেই স্টাফকে দেখেছি একজন যাত্রীর সাথে বাজে ব্যবহার করতেও।
যাইহোক উত্তরা উত্তর স্টেশনের স্টাফকে আমি যতোই বুঝানোর চেষ্টা করলাম,তিনি আমাকে ৪০ টাকা দিতেই হবে বলে জানালেন। প্রয়োজনে আমি মতিঝিল স্টেশনে গিয়ে অভিযোগ করতে পারি বলেও পরামর্শ দিলেন। তার সুচিন্তিত পরামর্শের প্রশংসা করতেই হয়!
অতঃপর ৪০ টাকা দিয়ে নতুন করে কার্ড রিচার্জ করে বের হয়ে আসলাম।
অসাধু ব্যক্তিরা সব জায়গাতেই আছে। মেট্রোরেলেও তার ব্যতিক্রম নয়। কাজেই টিকিট করার সময় সবাই নিজ নিজ দায়িত্বে ডিসপ্লে দেখে নিবেন। নতুবা আমার মতো ঠকতে হবে।
—মহিউদ্দিন পলাশ
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক