ঢাকামঙ্গলবার , ২৫ মার্চ ২০২৫
  1. Bangla
  2. chomoknews
  3. English
  4. অপরাধ
  5. অভিনন্দন
  6. আমাদের তথ্য
  7. কবিতা
  8. কর্পরেট
  9. কাব্য বিলাস
  10. কৃষি সংবাদ
  11. খুলনা
  12. খোলামত
  13. গল্প
  14. গাইড
  15. গ্রামবাংলার খবর
আজকের সর্বশেষ

মুন্সীগঞ্জে শিশু ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষককে গণধোলাই, জনতার হাসপাতাল ঘেরাও

চমক নিউজ, ময়মানসিংহ
মার্চ ২৫, ২০২৫ ৯:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মুন্সীগঞ্জে শিশু ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষককে গণধোলাই, জনতার হাসপাতাল ঘেরাও

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জে ৪র্থ শ্রেণীর (৯) বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে বিদ্যালয়ের এক নৈশ্য প্রহরীকে গণপিটুনি দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। জানাগেছে, গত সোমবার সকালে মধ্য কোর্টগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী।

এ ঘটনায় রাতে ভিকটিম কিছুটা অসুস্থ্যবোধ করলে ভিকটিমের পরিবার শিশুটির কাছে এর কারণ জানতে চায়। পরে শিশুটি তার স্বজনদেরকে জানান বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরি তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়।

বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে আজ মঙ্গলবার সকালে উত্তজিত জনতা ধর্ষক আবুল হোসেন (৫০)কে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশু ধর্ষণের চেষ্টার এই ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা তাৎক্ষনিক মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল গিয়ে অবস্থান নেয়। দুপুর ১২ টা থেকে শত শত নারী ও পুরুষ সহ জনতা হাসপাতাল ঘিরে রাখে।

এতে দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৬ ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল।একাধিকবার উত্তেজিত জনতা ও ভিকটিমের স্বজনরা হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে ধর্ষককে মারপিট করার চেষ্টা করেন।

এসময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উত্তেজিত জনতাকে হাসপাতাল থেকে বের করে হাসপাতালের প্রতিটি গেট আটকে দেন। ধর্ষককে উন্নত চিকিৎসার সেনাবাহিনীর গাড়ীতে করে নিরাপদে ঢাকায় পাঠাতে হাসপাতালের বাহিরে নিয়ে আসে।

এসময় উত্তেজিত জনতা সেনাবাহীর গাড়ীতে ব্যারিকেট দিয়ে ধর্ষণকারীকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। পরে নিরুপায় হয়ে সেনাবাহির সদস্যরা ধর্ষণে অভিযুক্ত আবুল হোসেনকে আবারও হাসপাতালের ভিতরে নিরাপদ স্থানে নিয়ে রাখেন। এরপর থেকে একাধিকবার উত্তেজিত জনতা বার বার হাসপাতালে আক্রমণ করে ধর্ষককে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন।

ঘটনাস্থলে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ডিবি পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি ছিলো। এছাড়াও জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা সেখানে দীর্ঘ সময় অবস্থান করেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারেনি। উত্তেজিত জনতা ঘন্টার পর ঘন্টা হাসপাতালটি ঘিরে রাখে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ সেখানে যথেষ্ট দৈর্যের পরিচয় দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন।

একটা পর্যায়ে কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্র দলের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হন। ছাত্রদল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। দীর্ঘ ৬ ঘন্টা পর ইফতারির ঠিক আগ মুহুর্তে সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রিজন ভ্যানে করে ধর্ষককে হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। দীর্ঘ সময় হাসপাতালটি অবরুদ্ধ থাকার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগী ও স্বজনরা পড়েন বেশ বিপাকে। আটক ধর্ষক মধ্য কোর্ট গাঁও এলাকার মৃত আঃ রহমানের পুত্র।

ভিকটিমের মা ইভা বেগম বলেন, আমি আয়ার কাজ করে শিশুটিকে মানুষ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যেখানে স্কুলে গিয়েও আমার মেয়ে নিরাপদ নয় সেখানে আইনে কি বিচার পাবো। আমরা এখানে অবস্থান করছি ওই ধর্ষকের কোনো চিকিৎসা হতে দিবোনা। ওরে আমাদের হাতে তুলে দিতে হবে। জনতা প্রকাশ্যে ওই নরপশুর বিচার করবে।

ভিকটিমের খালা সেলিনা বেগম জানান, আমার বোনের মেয়েকে স্কুলের ২য় তলায় নিয়ে সর্বনাশ করছে। বাড়ীতে যাওয়ার পর আমার বোনের মেয়ে আমাকে সব খুলে বলেছে। তাকে বার বার ধর্ষণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। পাবলিক ধর্ষণকারীকে গণপিটুনি দিয়েছে ওর আবার কিশের চিকিৎসা। ওরে জনতার হাতে তুলে দিবো বিচার এখানেই শেষ হবে। কিন্তু পুলিশ ও সেনাবাহিনী ধর্ষনকারীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর চেষ্টা করছে। আমরা আইনের বিচার নয় জনতার বিচারে ওই নরপশুর বিচার করবো।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মোহাম্মদ ফিরোজ কবির জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে ধর্ষককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন।