ঢাকারবিবার , ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  1. Bangla
  2. chomoknews
  3. English
  4. অপরাধ
  5. অভিনন্দন
  6. আমাদের তথ্য
  7. কবিতা
  8. কর্পরেট
  9. কাব্য বিলাস
  10. কৃষি সংবাদ
  11. খুলনা
  12. খোলামত
  13. গল্প
  14. গাইড
  15. গ্রামবাংলার খবর
আজকের সর্বশেষ

মুন্সীগঞ্জে মেঘনা নদীতে জলদস্যুদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ- অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার

চমক নিউজ, ময়মানসিংহ
ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫ ১:০৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

মুন্সীগঞ্জে মেঘনা নদীতে জলদস্যুদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ- অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি- মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার কালিরচর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই জলদস্যু বাহিনীর সাথে পুলিশের ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে মাসুদ সিকদার (৩০) নামের একজন জলদস্যু গুলিবিদ্ধ হয়েছে। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে মেঘনা নদীর মোহনায় জলদস্যুদের সাথে পুলিশের প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়।

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, সম্প্রতি মেঘনা নদীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জলদস্যু কিবরিয়া মিঝি ও জলদস্যু জহির কানা গ্রুপের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

 

এতে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রিফাত ও রাসেল ফকির নামের একজন নিহত হয়। এছাড়াও আইয়ুব আলী নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই হত্যাকান্ডের ঘটনার রেশ না কাটতেই শুক্রবার সকালে জলদস্যুদের হামলায় পিংকি নামের এক অন্ত:স্বত্তা নারী গুলিবিদ্ধ হয়।

দুইটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় জরিতদের গ্রেফতার করতে শনিবার সকাল থেকে মেঘনা নদীর কালিরচর এলাকায় নৌ পুলিশ ও মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন।

স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, কালিরচরে নদী এবং স্থল পথে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশ প্রথমে কালিরচর গ্রাম ও নদী তীরবর্তী এলাকায় জলদস্যুদের ধাওয়া করলে জলদস্যুরা দুইটি সিবোট দিয়ে মেঘনা নদীর দিকে যেতে থাকে। এসময় নদী পথে আসা নৌ পুলিশের সামনে পড়ে যায়। নদীতে পুলিশকে দেখা মাত্র জলদস্যুরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষন করে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে সেখানে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়।

এসময় কানা জহির গ্রুপে থাকা মাসুদ সিকদার গুলিবিদ্ধ হয়। এরপর পুলিশের ধাওয়াতে জলদস্যুরা পদ্মার শাখা নদীতে ঢুকে পড়ে বাংবাজার এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ আরেকটি সিবোট দিয়ে তাদেরকে ধাওয়া করলে জলদস্যুরা দিঘিরপাড় বাজারের দিকে ছুটতে থাকে। এসময় গুলিবিদ্ধ মাসুদসহ জলদস্যু গ্রুপের বেশ কয়েকজন নদীতে লাফ দিয়ে তীরে উঠে পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশ জলদস্যুদের ১৫ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত ধাওয়া করে টঙ্গীবাড়ীবাড়ী উপজেলার হাসাইল পদ্মা নদী এলাকায় নিয়ে যায়। ওইসময় জলদস্যুরা সেখানে ছত্র ভঙ্গ হয়ে যায়।

এসময় জলদস্যুরা একটি ডাকাতি ট্রলার ও একটি সিবোট ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। জলদস্যুদের ফেলে যাওয়া ট্রলার ও সিবোট তল্লাসি করে পুলিশ ১১ট হাত বোমা, এক রাউন্ড বন্দুকের গুলি, একটি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করেন। স্থানীয়দের দাবি, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বার বার সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে দুই দল জলদস্যু। তাদের এই সংঘর্ষের ঘটনার কারণে মেঘনা নদী তীরবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় না আনলে মেঘনা নদীতে শান্তি ফিরে আসবে না। দ্রুত সময়ে জলদস্যু বাহিনীর হাত থেকে মেঘনা নদীকে মুক্ত করার দাবি জানিয়েন স্থানীয় গ্রামবাসী।

মেঘনা ও পদ্মার শাখা নদীতে জলদস্যুদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সাইফুল আলম পিপিএম জানান, নদীতে আমরা সদর থানা পুলিশ, চর আব্দুল্লাহ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো: আতাউর রহমান সহ নৌ পুলিশকে নিয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করি। পুলিশের একটা গ্রুপ স্থল পথে এবং একটি গ্রুপ নদী পথে রওয়ানা অভিযান চালাই। নদী পথে ধাওয়া দিলে জলদস্যুরা স্থলে চলে আসে।

যখন স্থল পথে পুলিশ ধাওয়া করে তখন তারা সিবোট দিয়ে নদী পথে পালানোর চেষ্টা করে।এসময় নদীপথে থাকা পুলিশের মুখামুখি হলে ওরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। আত্ন রক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। জলদস্যুরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক গুলি বর্ষন করে। পুলিশও তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে জলদস্যুরা নদী পথে পদ্মার শাখা নদী দিয়ে দিঘিরপাড় অভিমুখে ছুটতে থাকে। তাদেরকে ধরার জন্য আমরা ১৫ কিলোমিটারে নদী পথ ধাওয়া করি।

তিনি আরোও বলেন,এক পর্যায়ে নদী পথে পদ্মার শাখা নদী হয়ে জলদস্যুরা টঙ্গীবাড়ী উপজেলার হাসাইল এলাকায় চলে যায় এবং সেখানে গিয়ে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে একটি সিবোট ও ট্রলার রেখে পালিয়ে যায়।

এসময় ওই সিবোটে ও ট্রলার থেকে এক রাউন্ড বন্দুকের গুলি, ১১ টি হাত বোমা এবং একটি চাইনিজ কুড়াল জব্দ করি। পাশাপাশি ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রলার জব্দ করি।আটককৃত সিবোট চর আব্দুল্লাহ নৌ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। এঘটনায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।     ( চলবে)