ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
  1. Bangla
  2. chomoknews
  3. English
  4. অপরাধ
  5. অভিনন্দন
  6. আমাদের তথ্য
  7. কবিতা
  8. কর্পরেট
  9. কাব্য বিলাস
  10. কৃষি সংবাদ
  11. খুলনা
  12. খোলামত
  13. গল্প
  14. গাইড
  15. গ্রামবাংলার খবর
আজকের সর্বশেষ

ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সার উৎপাতে জন জীবনঅতিষ্ঠ

চমক নিউজ বার্তা কক্ষ
ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩ ৯:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সার উৎপাতে জন জীবনঅতিষ্ঠ

মোঃ রফিকুল ইসলাম মিঠু উত্তরা ঢাকা।। রাজধানীর দক্ষিনখান ও উত্তরখান আজমপুর রেললাইন থেকে মাজার পর্যন্ত ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা থেকে দৈনিক ২০ হাজার টাকা করে চাঁদা উঠে। এ ছাড়া আব্দুল্লাহপুর থেকে ময়নার টেক পর্যন্ত রাস্তায় দৈনিক ৪০ হাজার টাকা ও কসাইবাড়ি থেকে দক্ষিণখান বাজার পর্যন্ত রাস্তায় ৫০ হাজার টাকা চাঁদা উঠে বলে অভিযোগ রয়েছে। কোটি টাকার এ চাঁদাবাজি টিকিয়ে রাখতেই সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজচক্র নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোরিকশা সচল রেখেছে। ফলত ইজিবাইক ও অটোরিকশায় রাজধানী সয়লাব হয়ে পড়েছে।

উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নেই, বরং দিন দিন এগুলোর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, বাড়ছে যানজট, ভোগান্তি।জানা গেছে, যানজটের নগরী ঢাকার ব্যস্ততম রাস্তা দখল করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অবৈধ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক (অটোরিকশা)। ফলে তীব্র যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন পথচারীরা।অপরদিকে এসব যানবাহনকে পুঁজি করে ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও পুলিশ দৈনিক লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করছে বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।

উত্তরখান, দক্ষিণখান, তুরাগ, এলাকার অলি গলিতে অবাধে চলছে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিকশা। পুলিশের চোখের সামনেই এগুলো দেদারছে চলাচল করছে, অহরহ যানজট বাঁধাচ্ছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্যও চরম ভোগান্তির সৃষ্টি করছে ইজিবাইক। প্রায়ই ঘটাচ্ছে দুর্ঘটনা।

নিষিদ্ধ এ যানবাহনগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বিআরটিএর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, জনবলের অভাবে রাজধানীর সব এলাকায় এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তারপরও বিভিন্ন সময় মোবাইল কোর্টের অভিযানে বহু অটোরিকশার মোটর খুলে ফেলা এবং অনেক ইজিবাইক ডাম্পিংয়ে পাঠানোর দাবি করেন ওই কর্মকর্তা।

কিন্তু বাস্তবে প্রতিটি রাস্তা, অলিগলি সয়লাব হয়ে পড়ছে নিষিদ্ধ অটো-ইজিবাইক।জানা যায়, রাজধানীর সর্বত্রই মোটা অঙ্কের চাঁদার বিনিময়ে অবৈধ এ যান চলাচলের মৌখিক বৈধতা দিচ্ছে পুলিশ। কোনো কোনো এলাকায় প্রতিদিন নামানো হচ্ছে ৪০-৫০টি নতুন অটো-ইজিবাইক। প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করেই চলছে এই ব্যাবসা।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর দক্ষিণখান ও উত্তরখান এলাকার তিনটি রুটেই চলাচল করছে সহস্রাধিক ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। এ রুটগুলো হচ্ছে— বিমানবন্দর রেললাইন থেকে দক্ষিণখান, তালতলা, কসাইবাড়ি থেকে দক্ষিণখান বাজার, কসাইবাড়ি থেকে কাঁচকুড়া, হাজী ক্যাম্প থেকে কাঁচকুড়া এবং আবদুল্লাহপুর থেকে উত্তরখান মাজার রোডসহ অন্যান্য পয়েন্ট।

বর্তমানে রাজলক্ষ্মী সহ উত্তরা আজমপুর এলাকার অলিতে গলিতে ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সার উৎপাতে পথচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। পুলিশ যেন দেখেও না দেখার ভান করছেন। অনেকের মতে উত্তরা আজমপুর ফাঁড়ির সাথেই রয়েছে এই অটো রিকশাচালক সমিতির একটা সখ্যতা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ এলাকার প্রতিটি ইজিবাইক থেকে প্রতিদিন ৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় হয়। এ ক্ষেত্রে পুলিশের হয়ে কাজ করে স্থানীয় কয়েকটি চক্র।

চাঁদার টাকা থেকে থানা পুলিশ, স্থানীয় মাস্তান-সন্ত্রাসী, ট্রাফিক বিভাগসহ অন্যান্য সংস্থার চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে। চাঁদার টাকা না দিলে লাইনম্যান, ট্রাফিক পুলিশ ও থানা পুলিশ সেসব গাড়ি আটক করাসহ সংশ্লিষ্ট চালকদের ওপর নির্যাতন চালায়। দক্ষিণখান ও উত্তরখানের কিছু ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নামে ও মোটা অঙ্কের ভাগ বসানোর অভিযোগ রয়েছে। ‘লাইসেন্স’ দেওয়ার নামে প্রতি ইজিবাইক থেকে ২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।

হাই কোর্টের স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কোন ক্ষমতাবলে সেসব যান চালাচলের লাইসেন্স দেয়, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। ইজিবাইক চলে এবং এগুলো খুবই বেপরোয়া। আজমপুর ও বিমানবন্দর ট্রাফিক পুলিশ বক্সের এক কর্মকর্তা প্রতি সপ্তাহে অটোপ্রতি ১২০০ টাকা করে আদায় করে নিচ্ছে। মাসোয়ারার টাকা না পেলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা ইজিবাইক পুলিশ বক্সে আটকে রেখে ডাম্পিং ও রেকার করেন।

তালতলা ও ডুমনি, বিমানবন্দর ট্রাফিক পুলিশ বক্স থেকে সিভিল এভিয়েশন কোয়ার্টার, খিলক্ষেত বাজার থেকে লেকসিটি, কসাইবাড়ি থেকে দক্ষিণখান বাজার ও ইউনিয়ন, জয়নাল মার্কেট থেকে দক্ষিণখান বাজার, আজমপুর থেকে উত্তরখান থানা এবং ময়নারটেক ও আবদুল্লাহপুর থেকে উত্তর খান।

এসব রুটে অন্তত সাড়ে তিন হাজার ইজিবাইক এবং অটোরিকশা চলে। অভিযোগ রয়েছে, প্রতি ইজিবাইক থেকে প্রতিদিন ৮০-১০০ এবং প্রতি অটোরিকশা থেকে ৫০-৭০ টাকা আদায় করা হয়। এ ক্ষেত্রে পুলিশের হয়ে কাজ করে ‘লাইনম্যান’ নামে স্থানীয় একটি চক্র। সহস্রাধিক অবৈধ যানববাহন থেকে প্রতিদিন আড়াই লক্ষাধিক টাকা চাঁদাবাজি চলে। চাঁদাবাজির প্রায় অর্ধেক টাকা পান স্থানীয় থানা আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা।

ঢাকার সব নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচলে রাজনৈতিক নেতা এবং পুলিশের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্টরা।

ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের জনৈক কর্মকর্তা জানান, রাজধানীর ব্যস্ততম কোনো রাস্তায় ইজিবাইক বা ব্যাটারিচালিত অটো চালানোর সুযোগ নেই। বরং প্রতি মাসেই এসব অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রতদিন বিদ্যুৎ অপচয় ৩০ লাখ ঘণ্টা কিলোওয়াট!

বিদ্যুৎ বিভাগের একাধিক সূত্র জানায়, অবৈধ ইজিবাইক ও অটোরিকশায় চার্জ দেওয়ার নামে প্রতিদিন দেশে অন্তত ৩০ লাখ ঘণ্টা কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয়। বাণিজ্যিকভাবে এর মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা বলে জানা গেছে। সহজ পদ্ধতিতে গড়ে তোলা গাড়ির নামই হচ্ছে ইজিবাইক আর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। বাহন দুটি খোদ রাজধানীতেই কঠিন দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। লক্ষাধিক ইজিবাইক আর ৩০ হাজারেরও বেশি ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান নাগরিক জীবনকে রীতিমতো বিষিয়ে তুলেছে।

একদিকে গাড়িগুলোর ব্যাটারি চার্জের নামে দেদারছে বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে। আব্দুল্লাহপুর রয়েছে হাসান,শাহআলম,হাসানের ভাই মিজান। আজমপুর রেললাইনে রয়েছেন মোখলেস, হেলাল, বিপ্লব,ভায়রা।কসাইবাড়ি রয়েছেন সোহেল। মাজারে রয়েছেন রুস্তম। এদের কাজ হচ্ছে সকলকে ম্যানেজ করা। কাউকে অর্থ দিয়ে কাউকে ধমক দিয়ে দাবিয়ে রাখা।

এ ব্যাপারে দক্ষিনখান থানার অফিসার ইনচার্জ, বলেন এ ব্যাপারে আমারা আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করি প্রায় সময়। সামনে আরো কঠোর ভাবে ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো। অপরদিকে উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মামুনকে ফোন দিলে তিনি বলেন আমি একটা মিটিংএ আছি।

স/এষ্