বগুড়ার শেরপুরে জোর পূর্বক জমি দখলের চেষ্টা থানায় অভিযোগ
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি ।। বগুড়ার শেরপুরে জোর পুর্বক জমি দখলের চেষ্টায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ু ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের মধ্যভাগ গ্রামে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজলার সুঘাট ইউনিয়নের মধ্যভাগ গ্রামের মৃত মোকছেদ আলী ফকিরের ছেলে আব্দুস ছালাম এবং তার ভাইয়েরা পত্রিক সুত্রে পাওয়া মধ্যভাগ মৌজায় ৭২ শতক জমি খাজনা খারিজ সম্পন্ন করিয়া বর্তমান সময় পর্যন্ত ভোগদখল করে আসিতেছে।
ইতিপুর্বে বিবাদ জাহের আলী দিং উক্ত সম্পত্তির উপর কোর্টে একটি মামলা দায়ের করিলে সেই মামলায় আব্দুস ছালাম ডিগ্রীলাভ করে। পরে বিবাদীপক্ষ উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করিয়াছে যাহার বিচারকার্য এখনও আদালতে চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে গত ২ জানুয়ারী ২০২৫ তারিখ সকাল ১১ টার দিকে মধ্যভাগ গ্রামের মৃত জামাত আলীর ছেলে রইচ উদ্দিন (৫৫), আবু বক্কর (৫৩), রব্বানী (৫০), হাফিজুর (৪৭), আবু ছাইদ (৪২) সহ প্রায় ১০/১২ জন লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে উক্ত সম্পত্তি জবর দখলের উদ্দেশ্যে পাওয়ার টিলার দিয়া হালচাষ করিতে থাকে। খবর পেয়ে বাদিপক্ষ বাধাদিতে গেলে তারা অকথ্যভাষায় গালিগালাজ ও ভয়ভিতিসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে।
উক্ত ঘটনায় মারামারি সহ অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাদিপক্ষ ওইদিনই থানায় আসিয়া একটি লিখিত আভিযোগ দায়ের করে। পরে থানা পুলিশের এসআই রয়েল হোসেন তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিবাদী পক্ষকে উক্ত সম্পত্তিতে না যাওয়ার কথা বলে আসে। পরে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিএনপির নেত্রীবৃন্দ সহ এলাকা গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ একটি শালিসি বৈঠক হয় যেখানে সর্বসম্বতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় যে আদালতে মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিবাদী পক্ষ উক্ত সম্পত্তিতে কোন প্রকার জবর দখল করতে পারবে না।
কিন্ত বিবাদ পক্ষ কোন কিছু তোয়াক্কা না করে গত ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ তারিখ সকাল ৯ টারদিকে উপরোক্ত বিবাদীগণ জোরপুর্বক উক্ত জমিতে ইরি ধান রোপন করিতে থাকে। বাধা দিতে গেলে আবারও গালিগালা ও ভয়ভিতি প্রদর্শন সহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে। পকে ওই দিনই উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় আরও একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
এব্যাপারে শেরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিয়ষে থানা পুলিশের ভুমিকা খুব বেশী থাকেনা তারপরও যেহেতু অভিযোগ হয়েছে তাই একজন অফিসারকে দায়ীত্ব দেওয়া আছে। ওই অফিসার এখন ছুটিতে আছে উনি আসলে তদন্ত পুর্বক প্রয়োনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স/এষ্