ঢাকাশনিবার , ৫ আগস্ট ২০২৩
  1. Bangla
  2. chomoknews
  3. English
  4. অপরাধ
  5. অভিনন্দন
  6. আমাদের তথ্য
  7. কবিতা
  8. কর্পরেট
  9. কাব্য বিলাস
  10. কৃষি সংবাদ
  11. খুলনা
  12. খোলামত
  13. গল্প
  14. গাইড
  15. গ্রামবাংলার খবর
আজকের সর্বশেষ

পাইকগাছার মঠবাড়িতে রাস্তা খুঁড়ে রাখায় জনদুর্ভোগ চরমে

admin
আগস্ট ৫, ২০২৩ ৫:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পাইকগাছার মঠবাড়িতে রাস্তা খুঁড়ে রাখায় জনদুর্ভোগ চরমে

ইমদাদুল হক, পাইকগাছা(খুলনা)।। পাইকগাছার মঠবাড়িতে এক কিলোমিটার রাস্তা খুঁড়ে বালি দেওয়ার পর কাজ ফেলে রাখায় জনদুর্ভোগে পড়েছে গ্র্রামবাসী।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালিপনা আর চরম উদাসীনতায় দুর্ভোগে পড়েছে সড়কের আশপাশ গ্রামের মানুষ।রাস্তার দুই পাশে উচু করে মাটি রাখাায় বৃস্টি হলে পানিতে রাস্তা তলিযে যায়।

কদিনের ভারী বৃষ্টিতে জনদুর্ভোগের সীমা নেই। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এমন কর্মকাণ্ডে হাজার হাজার মানুষের চলাচলসহ স্কুলগামী শিশুরা পড়েছে চরম বিড়ম্বনায়।

উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, খুলনা বিভাগের পল্লি উন্নয়ন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ি গ্রামের সওকত মাস্টারের বাড়ি থেকে জামাল নায়েবের বাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটার পিচের রাস্তা উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ৯৪ লাখ ৬ হাজার ৮১৯ টাকা বরাদ্ধ হয়।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জয়মা এন্টারপ্রাইজ ২০২২ সালের ৩০ জুন কার্যাদেশ পান। ৭ জুলাই রাস্তার ইট তুলে বালি ভরাটের জন্য খননকাজ শুরু করেন। অল্প সময়ে খনন কাজ শেষ হলেও বালি ভরাট না করে প্রায় ৬ মাস ফেলে রাখেন।

স্থানীয়দের চাপে বালি ভরাট কাজ শুরু করলেও শেষ না করেই ফেলে রেখেছে ঠিকাদার।বৃষ্টির মৌসুমে খুঁড়ে রাখা মাটি ও বালি মিশে রাস্তা চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্কুলগামী শিশুসহ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচল করতে চরম বিড়ম্বানায় পড়তে হচ্ছে। গত মে মাসের ৩০ তারিখ কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

মঠবাটী গ্রামের সুভাষ দেবনাথ বলেন, এক বছর পার হয়ে গেল, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ না করে ফেলে রাখায় গ্রামের মানুষের চলাচলে খুব সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ বলেন, রাস্তা খুঁড়ে রাখার কারণে এলাকার মানুষের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। আমি ঠিকাদারকে কয়েকবার বলেছি দ্রুত কাজটি শেষ করার জন্য কিন্তু এখন ঠিকাদারের কোনো খোঁজ নেই।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জয়মা এন্টারপ্রাইজের তাপস ঘোষ জানান, কাজটি শেখ হাসনাত নামে একজনকে সাবকন্ট্রাকে দিয়েছিলাম। সে কাজটি না করে ফেলে রেখেছে। বিষয়টি আমি জেনেছি। তার সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজটি দ্রুত শুরু করার চেষ্টা করছি।

উপজেলা প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান খান জানান, ঠিকাদারকে বারবার তাগাদা দিয়ে কাজ করাতে পারছি না। কয়েকবার তাদের চিঠি দিয়েছি। তারপরও তারা কাজ করছে না। ইতিমধ্যে কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। কার্যাদেশ বাতিল ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছি।

স/এষ্