পাইকগাছায় তীব্র দাবদাহে মৌসুমী ফল ও ফসল বিপর্যয়ের সম্ভবনা
ইমদাদুল হক,পাইকগাছা (খুলনা)।। তীব্র দাবদাহ, লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও সেচের পানির অভাবে পাইকগাছায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে ফসলি জমির ফসল পুড়েছে ও মৌসুমী ফল গাছ থেকে ঝরে পড়ছে। শুকিয়ে যাচ্ছে সবজি গাছ। এ কারণে মৌসুমে ফলন বিপর্যয় দেখা দেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৈশাখের শুরুতে প্রচণ্ড তাপদাহ শুরু হয়েছে। তীব্র খরায় যেন পুড়ছে দেশ। খুলনার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে তাপপ্রবাহ। দেখা নেই বৃষ্টির। উপকূলে লবন হাওয়ায় তাপমাত্রা আরও বেশী অনুভূত হচ্ছে। বৃষ্টির অভাবে আমের গুটি, লিচু, কাঠালের মুচি ঝরে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চাষি ও বাগান মালিকরা।
পাকগাছায় টানা প্রায় এক মাস ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। যার কারণে বিপর্যয় ক্রমশই বাড়ছে। ক্ষেতের করলা, শসা, লালশাক, পুঁইশাক, ঢেঁড়স, বেগুন, পটল, লাউ, ঝিঙ্গে, কচুসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে।
তীব্র দাবদাহের কারণে পানির স্তর দিন দিন মাটির নিচে নেমে যাচ্ছে। জমিতে সেচ দিয়েও কৃষকরা তাদের ফসল রক্ষা করতে পারছেন না।অতিরিক্ত তাপের কারণে বোরো ধান চিটা হয়েছে, লেগছে মাজরা পোকা। কৃষক শরিফুল বলেন,৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করি।
ধানে ফুল আসার পরে পানির অভাবে ঠিক মত পানি দিতে পারিনি। গরমে ধানে মাজরা পোকা দেখা দেয়।ধানে চিটার পরিমান বেশী হয়েছে। উপকূলের এলাকায় চিৎড়ি ঘেরর পরিমান বেশী। তী্ব্র গরমে পুকুর ও মৎস্য ঘেরের অল্প পানিতে মাছ মরে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ অসিম কুমার দাশ চমক নিউজকে বলেন, খরার জন্য ফলের গুটি ঝরে যাচ্ছে। তাপমাত্রা বাড়ার পরেও গুটি যেটুকু ঝরছে সেটা স্বাভাবিক। গুটি বেশি ঝরছে মনে হলে এ সময় আমসহ বিভিন্ন ফল গাছের গোড়া মাটি দিয়ে গোল করে বেধে বেশি করে পানি দিলে আমের গুটি কম ঝরবে।
স/এষ্