পটুয়াখালীতে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাড়িতে ঢুকে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাট
নিজস্ব প্রতিবেদক ।। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করে স্থানীয় তিন যুবক।
এতে তার পরিবারের লোকজন প্রতিবাদ করলে হত্যার হুমকি দিয়ে তাদের ওপর হামলা ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে ঐ যুবকেরা। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ ঘটনায় গত ১৭ এপ্রিল, বুধবার পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিলাল ম্যাজিষ্ট্রেট ২য় আদালতে একটি মামলা করা হয়।
ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের মহসেনউদ্দিন ফাজিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রী মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে একই বাড়ির দেলোয়ার গাজী (২৫) তার বন্ধুদের নিয়ে প্রায়ই তাকে উত্ত্যাক্ত করত। বিভিন্ন সময় তারা ঐ ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো।
সে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীর ওড়না ধরে টানা হিচড়া করে অভিযুক্ত দেলোয়ার গাজী। বাসায় এসে এ ঘটনা ভুক্তভোগী ছাত্রী পরিবারকে জানালে তারা দেলোয়ার গাজীর বাবা দুলাল গাজীকে জানায় এবং পরবর্তীতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন।
উত্ত্যাক্তের বিষয়টি দেলোয়ার গাজীর পরিবারকে জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১২ এপ্রিল, শুক্রবার তার বন্ধু আল আমিন গাজী, আরাফাত গাজীসহ আরো ৮-৯ জনকে নিয়ে আনুমানিক বিকাল ৫ টায় ছাত্রীর বাড়ি ঢুকে হমালা, লুটপাট ও ভাঙচুর চালায়।
হামলায় ছাত্রীর বাবা, উজ্জ্বল শিকদার (৪৪), মা লিজা বেগম, দাদী মনোয়ারা বেগম সহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। পরে আহতদের বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
দেলোয়ার গাজী বিভিন্ন সময়ে এলাকার বিভিন্ন মেয়েদের উত্ত্যাক্ত ও কু-প্রস্তাব দেবার বিষয়ে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসি। তারা দেলোয়ার গাজী ও তার সঙ্গীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছেন।
পটুয়াখালী গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পরিদর্শক মেজবাউল হক জানান, আসামি ধরার চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। এ বিষয়ে আদালতে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। আশারাখি অচিরেই অভিযুক্তদের আইনের আওয়াত আনা হবো।
স/এষ্