ঢাকারবিবার , ১২ জানুয়ারি ২০২৫
  1. Bangla
  2. chomoknews
  3. English
  4. অপরাধ
  5. অভিনন্দন
  6. আমাদের তথ্য
  7. কবিতা
  8. কর্পরেট
  9. কাব্য বিলাস
  10. কৃষি সংবাদ
  11. খুলনা
  12. খোলামত
  13. গল্প
  14. গাইড
  15. গ্রামবাংলার খবর
আজকের সর্বশেষ

তারাকান্দায় কালিয়ান নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

চমক নিউজ, ময়মানসিংহ
জানুয়ারি ১২, ২০২৫ ১০:৪৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

তারাকান্দায় কালিয়ান নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

তারাকান্দা (ময়মনসিংহ) উপজেলা প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের তারাকান্দায় কালিয়ান নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।১২ জানুয়ারি(রোববার) দুপুরে তারাকান্দা উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে (ময়মনসিংহ-হালূয়াঘাট সড়কের পাশে) এই মানববন্ধনে অংশ নেন এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া এলাকাবাসীর বরাতে জানা গেছে, উপজেলার রামপুর, নাগডোরা, পারুলীতলা, চাড়িয়া,চংনাপাড়া, চারগাছিয়া, কাকুড়া, শিমুলতলী, ভাটগুছি, মানিকদির, নিশুন্ধাকান্দি, চিনাপাড়া, মাইলোরা, ধারাকান্দি, কানুহারী, বাটিয়া, হবিবপুর, গালাগাঁও, গাবরগাতি. গড়পাড়া, কালনীকান্দা, মেঘাহালা, মারুয়াকান্দি, টিকুরীসহ আরো কতিপয় গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে উপজেলার অন্যতম নদী কালনী নদী।এই দুইপারে হাজার হাজার শ্রমজীবি পরিবারের বসবাস।দীর্ঘদিন যাবৎ এসব গ্রামের বাসিন্দারা এই নদীটিকে জীবন ও জীবিকার তাগিদে ব্যবহার করে আসছেন।তবে সম্প্রতি স্থানীয় প্রভাবশালীরা নদীটি অবৈধভাবে ইজারা নিয়ে ফিসারী স্থাপন পূর্বক মাছ চাষ করে আসতেছে।

এ মনকি নদীপাড়ের কাউকে প্রাত্যহিক কাজে নদীর পানি ব্যবহার করতে দিচ্ছেনা।নানা সময়ে নদীর পানি ব্যবহার ও মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ঐ প্রভাবশালীদের সাথে একাধিকবার বিবাদে জড়িয়েছেন তারা।তাই মানববন্ধন থেকে তাদের দাবী প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অচিরেই দখলমুক্ত হবে কালিয়ান নদীটি।নদীতে ফিরে আসবে স্বাভাবিক প্রাণচাঞ্চল্য।

এ বিষয়ে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া চাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুর রহমান বেপারীর ছেলে মো.আবুল কালাম মন্ডল(৬৫) বলেন-কালিয়ান নদীটি আমাদের প্রাণের স্পন্দন হয়ে আছে।আমরা ছোটবেলায় এই নদীটিকে ঘিরে আমাদের আবহমান জীবন নির্বাহ করে আসছি।কিন্তু কিছুদিন পূর্বে স্থানীয় প্রভাবশালী চরপাড়া গ্রামের মৃত আমির আলীর পুত্র মো.সিরাজুল ইসলাম নদীকে বিল দেখিয়ে ইজারা নিয়ে বাঁধ দিয়ে ফিসারী বানিয়ে মাছ চাষ করছে।ফলে নদীতে গোসলসহ নদীর পানি ব্যবহার করতে গেছে হুমকিসহ বাঁধা প্রদাণের মাধ্যমে আমাদের নিবৃত্ত করে রেখেছে সে।আমরা নদীটির দখল মুক্ত করে আবার জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করবে প্রশাসন এই দাবী জানাই।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা নাগডরা গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের পুত্র মো. আরাফাত(২৩) বলেন-সিরাজুল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে নদীকে বিল বানিয়ে ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছেন।এর আগে অন্য একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান নদীটি ইজারা নিলে স্থানীয়রা বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন।যেখানে গ্রামবাসীর পক্ষে রায় দেন আদালত।নদীটির সরকারী রেকর্ড, দলিলাদি ও বিআরএস জরিপে এটিকে নদী বলেই উল্লেখ করা হয়েছে।তাহলে নদীটিকে বিল বানিয়ে কিভাবে তিনি ইজারা নিলেন।আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।

এ ব্যাপারে সিরাজুল ইসলাম বা তাঁর কোন প্রতিনিধির সাথে তাৎক্ষনিক যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।তবে ফিসারীর দেখভালের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার মো. রাসেলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এবিষয়ে তারাকান্দা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দা তামান্না হোরায়রা বলেন-কালিয়ানকে ঘিরে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে স্থানীয় কয়েকজন আমার সাথে দেখা করেন। উনারা ময়মনসিংহের মান্যবর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন বলে একটি চিঠি দেখিয়েছেন।তবে আমরা এখনও কোন মেইল বা চিঠি পাইনি।মানববন্ধনের কথা জেনেছি।বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।