কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল রোজভ্যালি ফিরে পেলেন প্রকৃত মালিক
কুয়াকাটা প্রতিনিধি।। সাগরকন্যা কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল রোজভ্যালির প্রকৃত মালিক ফিরে পেলেন হোটেলটি। আইনী প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাত ৮টায় রোজ ভ্যালীর সাবেক ম্যানেজার বদরুজ্জামান (৩৩) স্থানীয়দের উপস্থিতিতে পটুয়াখালী জজকোর্টের আইনজীবী মিজানুর রহমানের হাতে চাবিটি তুলে দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গোপালগঞ্জের কিছু লোক অবৈধভাবে এই হোটেলটি পরিচালনা করে আসছে। প্রকৃত মালিক গং কাগজ কলমে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে ৫ আগস্টের পরে দখলদাররা আত্মগোপনে চলে যায় এবং প্রকৃত মালিক জসিম সিকদার হোটেলটি পুনরুদ্ধারের জন্য পটুয়াখালী বিজ্ঞ আদালতে কাগজপত্র নিয়ে মামলা দায়ের করে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত এম এ খায়ের মোল্লার দলিল বাতিল করে।
এ বিষয়ে এডভোকেট মিজানুর রহমান বলেন, গোপালগঞ্জ মোকসেদপুর জনৈক এম এ খায়ের মোল্লা ৭৯৪ /১৭ নং একটি দলিল দেখায়। ইতিমধ্যে ওই দলিল গৃহীতারা সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন কে বা কারার ডিবি পরিচয় তাদেরকে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর রাখেন। তদুপরি এই জমির প্রকৃত মালিক জসিম শিকদার পটুয়াখালী জেলা যুগ্ম জজ আদালতে ১৬২-২৪ নং মোকদ্দমা আনায়ন করে ওই দলিল বাতিলের জন্য। মাননীয় বিজ্ঞ আদালত এই দলিল ১৯-৯-২৪ প্রচারিত রায় এবং ২৯-৯-২৪ তারিখ স্বাক্ষরিত ডিগ্রি দ্বারা খায়ের মোল্লার দলিল বাতিল ঘোষণা করে। অতএব আদালত এই দলিল বাতিল করার পর এই সম্পত্তিতে খায়ের মোল্লার কোন অস্তিত্ব নাই।
এ বিষয়ে খায়ের মোল্লার ম্যানেজার বদরুল বলেন, আমি এই রোজ ভ্যালীর প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলাম। আমার তিন মাসের বেতন বকেয়া। গত ৫ তারিখে হোটেলটি ভাঙচুর করা হয়, এরপর মালিকপক্ষে (খায়ের মোল্লার) আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে শুনতে পাই এই হোটেলের প্রকৃত মালিক জসিম সিকদার তাই হোটেলের চাবি বুঝিয়ে দিলাম।
হোটেল মালিক জসিম সিকদার বলেন, এই জমির প্রকৃত মালিক হয়েও বিগত বছরে ধারে কাছেও আসতে পারিনি। ফ্যাসিস্ট সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর আইনি প্রক্রিয়ায় আমার মালিকানাধীন হোটেল টি পুনরুদ্ধারের জন্য পটুয়াখালী বিজ্ঞ আদালতে মামলা করি। বিজ্ঞ আদালত থেকে আমি রায় পাই। প্রকৃত দলিলের বলে আমি এর মালিক।