এসি বাসে “পাদের” গন্ধে ড্রাইভার সহ ৩০ জন অসুস্থ
নিউজ ডেস্ক : পেটের সমস্যা দেখা দিলে বা গ্যাস হলে সাধারনত মানুষ পাদ দিয়ে থাকে। সেই পাদের গন্ধ বাকি মানুষদের জন্যে হতে পারে মারাত্মক।
গত ২০ অক্টোবর চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখি হানিফ পারিবাহনে একটি এসি বাসের কোনও এক যাত্রীর ছাড়া পাদের গন্ধে বাসের ড্রাইভার সহ ৩০ জন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন।
দ্রুত গাড়িতে এয়ার ফ্রেস দিলেও পাদের দূগন্ধকে মেটাতে পারিনি। পরে গাড়ি রাস্তার পাশে দাড় করালে যাত্রীরা দ্রুত গাড়ী থেকে নেমে যায়।
হাইওয়ে পুলিশ এসে বাকি অক্ষত যাত্রীদের জিজ্ঞেসাবাদ করেছেন। কিন্তু কে এই কাজ করেছেন সেটি জানা যায়নি। পরে অন্য ড্রাইভার এসে এক ঘন্টা বিরতী দিয়ে পুনরায় যাত্রা শুরু করেন। বিরতীতে অনেকেই যাত্রা বিরতী হোটেলের টয়লেট ব্যবহার করেন।
যাত্রীরা সবাই একে অপরকে সন্দেহ করলেও প্রকৃত পাদদাতা থেকে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
এদিকে পাদ নিয়ে ফেসবুকে একটি আইডিতে একটি লেখা এই প্রতিবেদকে নজরে পড়ে। পাঠকদের জন্য সেই পাদ স্টাটাস তুলে ধরা হল।
পাকস্থলীতে লুকিয়ে থাকা দুষ্ট বায়ু যে বিশেষ প্রক্রিয়ায় পায়ুপথ হতে নির্গত হয়, তাকে পাদ বলে। পাদ হচ্ছে, মানবজাতির জন্য অতিব জরুরী একটি পন্থা। বিশেষজ্ঞদের মতে পাদ সাধারণ দুইপ্রকার।
যথাঃ
১. ঠাস পাদ ও ২. ফুস পাদ।
ঠাস পাদঃ যে পাদ মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করে, সেটাই হচ্ছে ঠাস পাদ। এসব পাদগুলো সাধারণত হরেক রকমের মনমাতানো সুরের সাথে নিজেদের আগমন ঘটায়।
শব্দ দূষণের অভিযোগ পাওয়া গেলেও এই পাদ বেশিরভাগ সময়ই
মানুষকে বিনোদিত করে।
ফুস পাদঃ যে পাদ নিজেকে মুক্ত করার জন্য পায়ুপথের কাছাকাছি এসে আকুপাকু করে তাকে ফুস পাদ বলে। এসব পাদের কোনো অস্তিত্ব নেই। ঘ্রাণ শুকে এদের অস্তিত্ব অনুভব করা যায়। এধরনের
পাদগুলো সাধারণত পরিবেশ দুষণ করে থাকে।
মানবজীবনে পাদের গুরুত্ব অপরিসীম। পাদদিতে না পারলে মানুষের পেটে মিথেন গ্যাস জমে যেতো। আর তখন মানুষ মাধ্যাকর্ষণ শক্তিতে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মহাশুন্যে উড়ে যেতো।
আসুন আমরা পাদ কে জাতীয় বায়ু হিসেবে ভুষিত করি। পুরনো বছরের সব খারাপ স্মৃতিগুলো পাদের সাথে বেরিয়ে যাক।
স/এষ্