ঢাকামঙ্গলবার , ২৪ নভেম্বর ২০২০
  1. Bangla
  2. chomoknews
  3. English
  4. অপরাধ
  5. অভিনন্দন
  6. আমাদের তথ্য
  7. কবিতা
  8. কর্পরেট
  9. কাব্য বিলাস
  10. কৃষি সংবাদ
  11. খুলনা
  12. খোলামত
  13. গল্প
  14. গাইড
  15. গ্রামবাংলার খবর
আজকের সর্বশেষ

অবাধে চলছে অবৈধ যৌন উত্তেজক ওষুধ জিনসিন বিক্রি

admin
নভেম্বর ২৪, ২০২০ ৪:২২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

অবাধে চলছে অবৈধ যৌন উত্তেজক ওষুধ জিনসিন বিক্রি

এম এম রহমান : মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে এবং শহরের বিভিন্ন দোকানে অবাধে বিক্রি নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজন সিরাজ ও ট্যাবলেট। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যুব সমাজ থেকে শুরু করে সকল বয়সী মানুষ এসব সিরাজ এবং ট্যাবলেট কিনতে দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে।

যুবসমাজ বন্ধুদের কাছ থেকে এসব ওষুধের নাম শুনে, অসৎ যৌন কামনা পূরনের জন্য এসব ওষুধ কিনে খাচ্ছে। ফার্মেসি থেকে শুরু করে মুদি দোকান, খাবারের হোটেল, এমনকি পান-বিড়ি ও চায়ের দোকানেও প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে অনুমোদনহীন এসব পানীয় ও ট্যাবলেট জাতীয় ওষুধ।

হকাররাও ঘুরে ঘুরে বিক্রি করছেন সেগুলো। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এসব ওষুধ খেয়ে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। কেউ কেউ ঢলে পড়ছেন মৃত্যুর কোলে। দীর্ঘদিন ধরে অবাধে এসব ওষুধ বিক্রি হয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজও নেয়া হয়নি আইনী ব্যবস্থা। ফলে দিনের পর দিন এসব ওষুধ দেদারছে কিনে খাচ্ছে মানুষ।

সরেজমিনে হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফার্মেসি, মুদি দোকান, খাবারের হোটেল, পান-বিড়ি ও চায়ের দোকানে প্রকাশ্যে সাজানো রয়েছে যৌন উত্তেজক পানীয় ওষুধগুলোর বোতল। এসব ওষুধের প্রতিটি বোতল ৫০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বোতলের গায়ে জিনসিন প্লাস, লাহমিনা, ইকলিপ, হরমো-ডি, ফাইটন, গুরু, ফাস্ট, সেভেন হর্স প্লাসসহ বিভিন্ন বাহারি নামের লেবেল লাগানো থাকলেও তাতে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর বা বিএসটিআই’র কোনো সিল নেই। এছাড়াও বিক্রি হচ্ছে নামি-বেনামি বিভিন্ন ধরনের যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট। ২০-৬০ টাকা মূল্যে বিক্রি হওয়া এসব ট্যাবলেটের গায়েও নেই মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ।

দামে সস্তা হওয়ায় যুবক থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও দেদারছে সেবন করছেন এসব যৌন উত্তেজক পানীয় ও ট্যাবলেট। ক্ষতিকর জেনেও প্রকাশ্যে এসব ওষুধ বিক্রি করছেন দোকানিরা। ওষুধের ছবি তুলতে গেলে কয়েকজন দোকানি বলেন, ‘ছবি তুলে লাভ কি? মানুষ আমোদ-ফুর্তি করার জন্য এগুলো কিনে খায়।

‘এসব ওষুধ মানুষের মৃত্যু ঘটাতে পারে, তা জানেন?’ এমন প্রশ্নে দোকানিরা বলেন, যুব সমাজ নয় সকল বয়সের লোকজনই শাররীক শক্তি বাড়াতে এসব কিনে খায়। অনেকে বাসা বাড়ীতেও নিয়ে যায়।

খেয়ে মরে যাবে কি মরবে না সেটা জানিনা। ক্রেতাদের চাহিদার কারনে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রশাসন তাদেরকে ধরুক যারা কোমলপানীয়, কোল্ড ড্রিংগস এর সাথে এগুলোও দোকানে দিয়ে যায়।

জিনসিন প্লাস কিনতে আসা যুবক আরিফ বলেন,‘কতোটুকু ক্ষতি করে, তা জনি না। তবে এটি খাওয়ার পর শরীরে এক ধরনের ফিলিংস আসে, তাই খাই’।

জেলা সিভিল সার্জন ডা: আবুল কালাম আজাদ বলেন, এসব ওষুধ সেবনে তাৎক্ষনিকভাবে দৈহিক মিলনে স্থায়িত্ব বাড়ালেও শরীরের রক্তচাপ অনেক বেড়ে যায়। ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। একইসঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনির মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

দীর্ঘদিন সেবনে দৃষ্টিশক্তি ও স্মৃতিশক্তি কমে যায়। এতে লিভার ও নার্ভ ড্যামেজ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তিনি আরো বলেন, এই ধরনের ওষুধ বিক্রি বন্ধে জেলা প্রশাসনও বেশ তৎপর। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওষুধ প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই বিষয়টা দেখবে জেলা ওষুধ প্রশাসনের লোকজন।

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবায়েত হায়াত শিপলু বলেন, নিষিদ্ধ এসব ট্যাবলেট ও সিরাপ দোকান কিংবা যেখানে বিক্রি করা হউক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এ ধরনের ওষুধ বিক্রির ব্যাপারে শিগগিরই জোরালো অভিযান পরিচালনা করা হবে’।

স/এষ্