
সান্তাহারে রেলওয়ের জমি অবৈধ ভাবে দখল, উদ্ধারে নেই কোন তৎপরতা
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সান্তাহারে সরকারি রেলওয়ের জমি মানেই অবৈধ ভাবে দখলের কৌশল, শুরু হয় প্রতিযোগিতা। ফাঁকা জায়গা দেখলেই দখলকারীদের কাছে যেনো সোনার হরিণ। সংশ্লিষ্ট কিছু কর্মকর্তার যোগসাজসে প্রভাবশালী থেকে শুরু করে যে যেমন ভাবে পারছে রেল লাইনের আশেপাশের রেলওয়ের জমি অবৈধ ভাবে দখল করছেন।
কর্তৃপক্ষ কঠিন কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারনে সুযোগ পাচ্ছে ওই সব অবৈধ দখলদাররা। যার কারণে অবৈধ ভাবে দখলের ঘটনা বেশি হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এই সান্তাহার রেলওয়ের বেশ কিছু জমিতে।

সরেজমিনে দেখা যায়, জিরা বাবু ও সামছুল নামের দুই ব্যক্তি রেলওয়ের প্রায় ১০শতক জমিতে অবৈধ ভাবে বাড়ি নির্মান করছেন। আইনের নীতিমালা না মেনে সান্তাহার পৌর শহরের সরকারি কলেজের সীমানা সংলগ্ন রেলওয়ের জমিতে অবৈধ ভাবে বাড়ি নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। ওই এলাকায় আরোও ১৫-২০ শতক জমিতে অবৈধ ভাবে ৪টি পরিবার বসবাস করছেন।
অপরদিকে পৌর শহরের পান্নার মোড়ের উত্তর পার্শ্বে প্রভাবশালী আতিকুজ্জামান তিনিও প্রায় ৮শতক রেলওয়ের জমিতে অবৈধ ভাবে বাড়ি নির্মাণ করছেন। রেলওয়ের জমি এমন হরিলুট হওয়া সত্বেও কর্তৃপক্ষের নিরব ভূমিকায় দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন। এ ব্যাপারে যেনো তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। নেই কোন উদ্ধার তৎপরতা।
জানা যায়, সরকারি রেলওয়ের জমিতে পাঁকা বাড়ি নির্মান করার কোন আইনের নীতিমালা নেই। শুধু কৃষি কাজে বা ব্যবসার জন্য লিজ নিতে পারে তাও শর্ত সাপেক্ষ। কিন্তু সান্তাহারে ঐতিহ্যবাহী রেলওয়ে জংশন যেখানে সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি থাকা সত্বেও একের পর এক অবৈধ ভাবে দখলের ঘটনা ঘটেই চলেছে। বেশির ভাগই জমি দখল করে ভোগ করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।
ফলে রেল লাইনের বাইরে থাকা বেশির ভাগ জমি রয়েছে বে-দখলে। কেউ কৃষি কাজে লিজ নিয়ে পাঁকা স্থাপনা করছেন আবার কেউ কোন কাগজপত্র ছাড়াই জমি দখল করে প্রভাব খাটিয়ে ভোগ করছেন। কর্তৃপক্ষদের এ বিষয়ে অবগত করলে সাময়িক ভাবে কাজ বন্ধ করে দিচ্ছেন এর কয়েকদিন পর পরিস্থিতি ঠান্ডা হলে আবার বাড়ি নির্মাণের কাজ করছেন, আবার কেউ নির্মাণ কাজ শেষ করে সেখানে বসবাস করছেন, কেউ বা শুরু করেছেন ব্যবসা।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জোরালো কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় দখল করা জমি উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সুযোগে সৎ ব্যবহার করছেন ওই সব অবৈধ দখলদাররা। তবে রেল কর্তৃপক্ষ চাইলে এই সব জমি উদ্ধারসহ অবৈধ স্থাপনা ইচ্ছে করলেই স্থায়ী ভাবে উচ্ছেদ করতে পারেন বলে সচেতন মহল দাবী করছেন। কিন্তু স্থানীয় রেল বিভাগের লোকজন দেখেও দিনের পর দিন নিরব ভূমিকা পালন করে আসছেন।
এতে বছরের পর বছর রেলের জমি বে-দখলেই থেকে যাচ্ছে। আর সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। বঞ্চিত হচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় থেকে। তাই সচেতন মহল রেলওয়ের জমিতে এ সব অবৈধ দখলে থাকা স্থাপনা স্থায়ী ভাবে উচ্ছেদের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
জমি দখলকারী আতিকুজ্জামান বলেন, এ জমি লিজ নেওয়া আছে। অন্যরা যেভাবে বাড়ি করছে আমিও সেভাবে করছি। জমি দখলকারী জিরা বাবু ও সামছুলের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এষ্টেট বিভাগের সান্তাহার রেলওয়ে কানুনগো কার্যালয়ের আমিন আলিমুর রাজিব বলেন, তাদের কে সতর্ক করা হয়েছে। রেলওয়ে থানায় ও উর্দ্ধতন কর্মকর্তার কাছে তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সান্তাহার রেলওয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) আফজাল হোসেন বলেন, লোক পাঠাচ্ছি নির্মান কাজ বন্ধ করার জন্য।
স/এষ্

