ঢাকারবিবার , ১৪ জুন ২০২০
  1. Bangla
  2. chomoknews
  3. English
  4. অপরাধ
  5. অভিনন্দন
  6. আমাদের তথ্য
  7. কবিতা
  8. কর্পরেট
  9. কাব্য বিলাস
  10. কৃষি সংবাদ
  11. খুলনা
  12. খোলামত
  13. গল্প
  14. গাইড
  15. গ্রামবাংলার খবর
আজকের সর্বশেষ

নওগাঁয় গ্রাম পুলিশের ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী

admin
জুন ১৪, ২০২০ ৭:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মুরাদ চৌধুরী, নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁয় গ্রাম পুলিশের ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভিকটিমের পরিবার বলছে, ঘটনা ধামাচাপা দিতে মিমাংসার চাপ দেয়া হচ্ছে। তবে অভিযুক্তের স্বজনদের দাবী টাকা আদায়ের জন্য এটি নাটক সাজানো হয়েছে। জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ বলছে, অভিযোগ পেলেই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন তারা। এঘটনায় এলাকায় জল্পনা-কল্পনা চলছে ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্তা কিশোরী সুষ্ঠ বিচার কি পাবে ?

কিশোরী ও তার পরিবার সুত্রে জানা গেছে, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের এক রিক্সাচালকের ১৫ বছরের এক কিশোরী মেয়েকে প্রায় ৫ মাস আগে ভাত রান্না করার কথা বলে কৌশলে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী চাচা গ্রাম পুলিশ জনৈক ফেলু (ফেলু পাহাড়পুর ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম পুলিশ হিসেবে কর্মরত আছে)। সেখানেই ফুসলিয়ে ও লোভ দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষন করা হয় কিশোরীকে।

এরপর ঘটনা গড়ায় অন্তঃসত্ত্বা পর্যন্ত। ধারনা করা হচ্ছে শুধু ফেলু নয় আরো কয়েকজন এই ধর্ষনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। সম্প্রতি বিষয়টি কিশোরীর মা জানার পর মুখ লজ্জার ভয়ে ও প্রভাবশালীদের চাপে আগত বাচ্চাটিকে গোপনে এক ধাত্রীর কাছে নিয়ে গিয়ে নষ্ট করে। কিন্তু এখনো ওই কিশোরীটি সুস্থ্য নয়। কিশোরীর পরিবারের দাবী সুষ্ঠ একটি দৃষ্টান্তরমূলক শাস্তি ও বিচার।

এদিকে বিষয়টি জানাজানির পর থেকে ওই গ্রাম পুলিশ পলাতক। সাংবাদিক আসবার খবরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হট্টগোল সৃষ্টি করে অভিযুক্তের স্বজনরা। সবকিছু মিথ্যা দাবী করে বলেন, যেকোন মূল্যে মিমাংশা করতে চান তারা। যদিও বাড়িতে ও মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও অভিযুক্ত ওই চৌকিদারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এছাড়াও বিভিন্ন মহল এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিশোরীর গরীব পরিবারকে ব্যবহার করে ব্যবসা করার চেষ্টাও অব্যাহত রেখেছেন বলে জানা গেছে।

কিশোরীর মা শাহনাজ বেগম বলেন, আমি এই ধর্ষনের দৃষ্টান্তর মূলক শাস্তি চাই। মেয়ের যে সর্বনাশ করা হয়েছে এখন আমি মেয়েকে নিয়ে কোথায় যাবো। আমি গরীব মানুষ। মেয়ের চিকিৎসা করার জন্য টাকা-পয়সারও প্রয়োজন। আমার মেয়েকে বিয়ে দিতে হবে। এখন মেয়েকে নিয়ে করবো।

পাহাড়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান কিশোর সাংবাদিককে বলেন, এই ঘটনার সাথে আরো কয়েকজনের সম্পৃক্ততার কথা আমি শুনেছি। তবে গ্রাম পুলিশ ফেলু পরিষদে আসছে না। আর বিষয়টি এখনো আমাকে কেউ জানায়নি।

বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চৌধুরী জোবায়ের আহম্মদ সাংবাদিককে বলেন, বিষয়টি আমি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে কিশোরীর পরিবার ও স্থানীয়রা।

স/এষ্