হবিগঞ্জের ইউসিবি ব্যাংকের এজেন্ট একাউন্ট খোলার নামে প্রতারণা করেছেন শেখ শাহাউর রহমান বেলাল
বিশেষ প্রতিনিধি।। হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থানার কেশবপুর গ্রামের মৃত শেখ মকলিছুর রহমান (পীর সাহেব) এর ছেলে শেখ শাহাউর রহমান বেলাল।
বেশ কিছু দিন পূর্বে ইউসিবি ব্যাংকের আউটলেট এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা খোলা হচ্ছে বলে, এলাকায় বেশ প্রচার করে আসছিল।
এক পর্যায় পার্টনার নেওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন ভাবে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে বেশ কয়েক জনকে পার্টনার নেওয়ার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত করেন।
এবং তাদের কাছে থেকে মোটা অংকের টাকা বাগিয়ে নেন। কিছু দিন পর অলিপুরে এজেন্ট ব্যাংকিং এর শাখা খুলেন।
অলিপুরে এজেন্ট ব্যাংকিং এর শাখা চালু করার কিছু দিন যেতে না যেতেই চার জন পার্টনার জানতে পারেন এই শাখার সঙ্গে তাদের কোন সম্পর্ক নেই পার্টনার হিসেবে। খোঁজ নিয়ে বিষয়টিরও সততা পান পার্টনার গান।
১.ইকবাল হোসেন নামে ব্যক্তির কাছ থেকে পার্টনার নেওয়ার নামে নিয়েছেন ৩০ হাজার টাকা (২.) মোঃ আরিফ নামে ব্যক্তির কাছ থেকে পার্টনার নেওয়ার নামে নিয়েছেন ১ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা (৩.) শাকিল নামে ব্যক্তির কাছ থেকে পার্টনার নেওয়ার নামে নিয়েছেন ৭৫ হাজার টাকা (৪.) মোঃ কুদরত আলী নামে ব্যক্তির কাছ থেকে পার্টনার নেওয়ার নামে নিয়েছেন ৪ লক্ষ টাকা। এমনি করে আরো অন্যান্য ব্যক্তিদের কাছে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে শেখ শাহাউর রহমান বেলালের বিরুদ্ধে।
প্রতারিত হওয়া পার্টনার গান এলাকায় বেশ কয়েক বার সালিশ বৈঠক করেও তাদের দেওয়া টাকা ফেরত পাচ্ছে না।
এই চার জনের মধ্যে বাঘাসুরা ইউপির হরিতলার আনু মিয়ার ছেলে কুদরত আলী জানান, আনন্দ টিভির হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি, সাপ্তাহিক চেকপোস্ট (হবিগঞ্জ) পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক শেখ শাহাউর রহমান বেলালকে খুঁজে পাচ্ছি না। UCB এজেন্ট ব্যাংকিং এর পার্টনার করার কথা বলে আমার কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা নিয়ে বর্তমানে লাপাত্তা রয়েছে।
পরে শাখা খোলার পর অফিসিয়াল ডকুমেন্টসে দেখি আমার নামে পার্টনারের কোন তথ্য নাই। পরে খবর নিয়ে জানতে পারি, আমার মতো আরও তিন জনকে UCB( ইউসিবি) এজেন্ট ব্যাংকিং এর নাম বিক্রি করে নিয়েছেন প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা।
ভুক্তভোগী কুদরত আলী জানান, আমার জীবনের শেষ সম্বল টুকু বিক্রি করে আমি চার লক্ষ টাকা দিয়েছি। আজ আমি পথে বসতে চলছি এই প্রতারক, টাউট ও বাটপার সাংবাদিক বেলালের কারনে।
আমার জীবনের শেষ সম্বল বিক্রি করে টাকা দিয়ে আজ দীর্ঘদিন যাবত বিচার সালিশ করে, তারিখে পর তারিখ গুনতে গুনতে আজ আমি নিশ্য হয়ে পড়েছি। আমার টাকা ফেরত দেবে বলে বেলাল মাসের পর মাস ঘুরাচ্ছে। অভিযোগ আছে অভিযুক্ত বেলাল সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মূলত সেই প্রভাব খাটিয়ে এতদিন তিনি টাকা দাওয়াতে নানান তালবাহানা করেছেন।
তিনি হবিগঞ্জ জেলা সদরের স্বেচ্ছাসেবকলীগে সহসভাপতি পদে দায়িত্ব পালনে রয়েছেন মর্মে জানিয়েছেন এলাকার অনেকে। বর্তমানে তিনি দেশের বাহিরে যাওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছেন।
সুযোগ পেলেই দেশ ছেড়ে পলাতক হবেন। আমি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সকলের দৃশ্য আকর্ষণ করছি। যাতে এই প্রতারকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্হা করা হয়।
বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীর এই বিষয়ে শেখ শাহাউর রহমান বেলালের সঙ্গে যোগাযোগ করলে, কুদরতের কাছ থেকে টাকার নেওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি। কিন্তু কবে দিবেন জিজ্ঞেসা করলে প্রতি উত্তরে একই কথা বলেন,আমাকে সময় দিতে হবে। এমনি তালবাহানা মাধ্যমে সময় ক্ষেপণ করে যাচ্ছেন শেখ শাহাউর রহমান বেলাল।
এমন কর্মকান্ড যদি গণমাধ্যম কর্মীদের দ্বারা সংগঠিত হয়, তাহলে মানুষ কার উপর আস্থা রাখবে। রাষ্ট্রের চতুর্থতম স্তম্ভ হলো সাংবাদিকরা। যদি এমন হেন কর্মে লিপ্ত হয়, তাহলে গুটা সাংবাদিক সমাজ প্রশ্নবৃদ্ধ হবে না কেন? এর সুরাহ হওয়ার খুব জরুরী বলে মনে করছেন স্থানীয় সংবাদ কর্মী, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা।