ঢাকাসোমবার , ১৫ জুলাই ২০২৪
  1. Bangla
  2. chomoknews
  3. English
  4. অপরাধ
  5. অভিনন্দন
  6. আমাদের তথ্য
  7. কবিতা
  8. কর্পরেট
  9. কাব্য বিলাস
  10. কৃষি সংবাদ
  11. খুলনা
  12. খোলামত
  13. গল্প
  14. গাইড
  15. গ্রামবাংলার খবর
আজকের সর্বশেষ

লালমনিরহাটে বন্যাপরিস্হির উন্নতি হলেও ভয়াবহ ভাঙ্গন বেড়েছে

চমক নিউজ বার্তা কক্ষ
জুলাই ১৫, ২০২৪ ৭:৪৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

লালমনিরহাটে বন্যাপরিস্হির উন্নতি হলেও ভয়াবহ ভাঙ্গন বেড়েছে

লাভলু শেখ, লালমনিরহাট।। সংস্কারের অভাবে নদীর একুল ভাঙ্গে অকুল গড়ে। প্রতিবছর নদী পাড়ের মানুষের ঘরবাড়ি ও আবাদী জমি বিলীন হয়ে যায়।

লালমনিরহাটের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি গত শুক্রবার ভোর বেলা থেকে কমে যাওয়ায় রোববার ১৪ জুলাই ভোর বেলা থেকে লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন জায়গায় পানিবন্দী পরিবার আর নাই।

তবে ভয়াবহ ভাংঙ্গন বেড়েছে ।। গত বৃহস্পতিবার ১১ জুলাই ভোর বেলা থেকে লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়েছিল। রোববার ১৪ জুলাই ভোর বেলা থেকে পানি নেমে যাওয়ায় পানিবন্দী এখন আর নাই বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। তবে ক্ষতিগ্রস্হ পরিবারের মাঝে দূভোগের যেন শেষ নেই।

জানা গেছে, লালমনিরহাটের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি কমেছে ভয়াবহ নদীর ভাঙ্গন বেড়েছে। লালমনিরহাট জেলায় নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে পড়েছে তিস্তা ও ধরলা নদী পাড়ের হাজারো পরিবার।

আরও হুমকির মুখে রয়েছে ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্টান। প্রতি বছর নদী ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে বসতভিটা আর আবাদি জমিসহ নানা স্থাপনা। ২ দিকের ভাঙনে জেলার মানচিত্র প্রতি বছর সংকুচিত হয়ে আসছে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ খায়রুজ্জামান সরকার বাদল রোববার ১৪ জুলাই ২০২৪ ইং তারিখ বিকেল ৬ টায় জানান, তার ইউনিয়নে প্রায় ১৭ শত পরিবার পানিবন্দী হলেও গত শুক্রবার ভোর বেলা থেকে পানি কমে যাওয়ায় এখন আর পানিবন্দী পরিবার নাই।

তবে গত ২দিনে খুনিয়াগাছের হরিণ চওড়া ও কালমাটি এলাকার প্রায় শ’ খানেক ঘরবাড়ি ও আবাদী জমি নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্হ পরিবারের লোকজন মানবেতর খোলা জায়গায় বসবাস করছে।

এদের মাঝে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন এান বিতরণ হলেও চাহিদা তুলনায় সামান্য। তাই বন্যাকবলীত ও নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে পযাপ্ত এান বিতরণের জোড় দাবী জানান, এলাকাবাসী।

এদিকে তিস্তা নদী:
১। ডালিয়া পয়েন্ট –
পানির সমতল ৫১.৫৮ মিটার (বিপদসীমা = ৫২.১৫ মিটার) যা বিপদসীমার ৫৭ সে.মি নিচে ।

২।কাউনিয়া পয়েন্ট –
পানির সমতল ২৮.৮৫ মিটার
(বিপদসীমা = ২৯.৩১ মিটার)
যা বিপদসীমার ৪৬ সে.মি নিচে ।
ধরলা নদীঃ
১। শিমুলবাড়ি পয়েন্ট –
পানি সমতল ৩০.২৮ মিটার,
(বিপদসীমা = ৩০.৮৭মিটার )
যা বিপদসীমার ৫৯ সে.মি নিচে। ২। পাটগ্রাম পয়েন্ট – পানি সমতল ৫৭.৩০ মিটার
(বিপদসীমা = ৬০.৩৫ মিটার) গত
যা বিপদসীমার ৩০৫ সে.মি নিচে।

লালমনিরহাটে গতকাল শনিবার ১৩ জুলাই সকাল ৯ টা হতে রোববার ১৪ জুলাই সকাল ৯ টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতঃ ৩২ মিলিমিটার। সংশ্লিষ্ট সূত্র ১৪ জুলাই বিকেল ৬ টায় এতথ্য নিশ্চিত করেছে।

পাউবো লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ইতিমধ্যে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছি। লালমনিরহাট এান অফিস জানান, পানিবন্দী ও ভাংঙ্গন কবলীত পরিবারদের জন্য ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা বিতরণ করা হচ্ছে।

স/এষ্