ঢাকামঙ্গলবার , ১ অক্টোবর ২০২৪
  1. Bangla
  2. chomoknews
  3. English
  4. অপরাধ
  5. অভিনন্দন
  6. আমাদের তথ্য
  7. কবিতা
  8. কর্পরেট
  9. কাব্য বিলাস
  10. কৃষি সংবাদ
  11. খুলনা
  12. খোলামত
  13. গল্প
  14. গাইড
  15. গ্রামবাংলার খবর
আজকের সর্বশেষ

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমে অর্ধশত পরিবারের জলাবদ্ধতায় বসবাস

চমক নিউজ বার্তা কক্ষ
অক্টোবর ১, ২০২৪ ৯:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমে অর্ধশত পরিবারের জলাবদ্ধতায় বসবাস

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি ।। মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার রামগোপালপুর ছৈয়ালবাড়ী ও বনিক্যপাড়া মহলস্নার প্রায় অর্ধ শতাধিক পরিবার দীর্ঘ ৯ বছর ধরে জলাবদ্ধতার মধ্যে বসবাস করছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো অভিযোগ, সাবেক দুই পৌর মেয়রের বাড়ীর পাশেই এই পরিবারগুলোর বসবাস। প্রতি বছর বৃষ্টি আর বর্ষা মৌসুমে প্রায় ৫ মাস এই এলাকার মানুষকে জলাবদ্ধতার মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছে। চারদিকে থাকা একাধিক ডোবা এবং সরকানি নয়নের খাল ভরাট হয়ে গেছে। ডোবাগুলো থেকে পঁচা আর দূর্গন্ধ যুক্ত পানি বাসা বাড়ীর উঠানে চলে আসে।

বৃষ্টি হলেই স্থানীয় বাসিন্দারা পানি নিস্কাশনের জন্য ব্য¯ত্ম হয়ে পড়েন। নর্দমার দূর্গন্ধযুক্ত পানি একাকার হয়ে যায়। কখনও কোমড় পানি, কখনও হাঁটু পানি মারিয়ে তাদেরকে চলাফেরা করতে হয়। বর্ষার সময়টি তাদেরকে পানি বন্দি থাকতে হয়। বর্তমানে বৃষ্টির মৌসুমে আবারও স্থায়ী জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে পরিবারগুলো।বছরের পর বছর ধরে জলাবদ্ধতায় পরিবারগুলো বসবাস করে আসলেও ওই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, অধিককাংশ বাড়ীর সামনে থাকা ডোবাগুলোতে ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হয়েছে। সেখানে থাকা দূর্গন্ধযুক্ত পানি অনেকের বাড়ীর উঠানে স্থায়ীভাবে আটকে আছে। নতুন করে বৃষ্টির পানি জলাবদ্ধতাকে আরো দৃশ্যমান করেছে। মনু ছৈয়ালের বাড়ী হতে তার প্রতিবেশীদের বাড়ীঘর এখন পানিবন্দি। এসব বাসাবাড়ীর পানি নেমে যাওয়ার খাল ও ডোবাগুলো ময়লা- আবর্জনা ফেলে ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে দখল করায় পানি নিস্কাশনের নালাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। যার কারণে এই জলাবদ্ধতার পানি শুকাতে লেগে যায় কয়েক মাস। এছাড়াও ৩০ টিরও অধিক পরিবার বাড়ী ঘরের চারপাশে ইটের গাথুনি দিয়ে বেরি দিয়েছে যাতে পানি ঘরে প্রবেশ না করে।

পাশাপাশি অনেক পরিবার পানির উপর দিয়ে চলাচলের জন্য ইট বালির ব¯ত্মা ফেলে রেখেছে পুরো বাড়ী জুড়ে। অনেক বাড়ীর সামনে জমে আছে বৃষ্টির পানি। সেই পানির সাথে যোগ হয়েছে ডোবার ময়লা আর দুর্গন্ধ যুক্ত পানি। সেখান থেকেও দূর্গন্ধ বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছেন। বাড়ীর উঠানে অনেকে ইট ফেলে চলাচল করছেন পানির উপর দিয়েই। জলাবদ্ধতায় শিশু এবং বৃদ্ধ বয়সের মানুষগুলো বেশি দূর্ভোগে পড়ছেন। বাড়ীর উঠানে পানি আর কাঁদা থাকায় অধিকাংশ পরিবারে থাকা শিশু এবং বৃদ্ধরা থাকছেন ঘরবন্দি।

ভুক্তভোগী একাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, একটু বৃষ্টি হলেই চলাচল করা দুষ্কর হয়ে পড়ে। একটু বৃষ্টি হলেই ভোগাšিত্মর শিকার হতে হচ্ছে। বাড়ীর উঠানে পানি থাকে আর বৃষ্টি হলেই ঘরের ভিতর পানি ঢুকে যায়। প্রায় ১০ বছর ধরেই চলছে এই দূরবস্থা। বছরে ৫/৬টা মাস পানিবন্দি আর জলাবদ্ধতার মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছে। তারা আরোও জানান, বর্ষার সময়ে ওই এলাকার অধিকাংশ পরিবার থাকেন পানিবন্দি। কিছু কিছু পরিবারকে শুকনো মৌসুমেও জলাবদ্ধতার মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছে বলে দাবি করেছেন একাধিক ভুক্তভোগী পরিবার।

স্থানীয় ভুক্তভোগী বাসিন্দা আনোয়ার বেপারী জানান,এলাকার পানি নেমে যাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে প্রতি বছরই বৃষ্টির দিনে রা¯ত্মা, বাড়ীর উঠান এবং ঘরে পানি ঢুকে যায়। আশপাশ এলাকার ডোবার নোংরা পানি আর আবর্জনা ভেসে আসে।এই ময়লা পানির কারণে শরীরে চুলকানি, পেটের অসুখসহ নানা রকমের রোগে আক্রাšত্ম হতে হচ্ছে এলাকার মানুষগুলো। তিনি আরও জানান, এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌর সভা কর্তৃপক্ষ বছরের পর আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে। এই দুইটি মহলস্নার পানি নিস্কাশনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে না। বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী নয়নের খালটি দখলমুক্ত এবং খনন করলেও পরিবারগুলো জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্তি পেতো বলেও জানান তিনি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও মিরকাদিম পৌর সভার প্রশাসক ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, মিরকাদিম পৌর এলাকার জলাদ্ধতা নিরসনে মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। যেসব এলাকায় ড্রেনগুলো সংস্কার করা দরকার সেই এলাকায় সংস্কার করা।যেসব এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই সেখানে ড্রেন নির্মাণের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌরসভার সংশিস্নষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।

স/এস্