বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩০৩
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লিটন (৮১), তামিম (৬২), বিজয় (৭৩) ও মুশফিকের (৫২*) রানে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছে ৩০৩ রান। রিয়াদ ২০ রানে অপরাজিত থাকেন।
প্রিয় সংস্করণে আগে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু এনে দেন সফরকারীদের দুই ওপেনার। তামিম ইকবাল আর লিটন দাসের ফিফটির পর তাদের দেখানো পথ ধরে ইনিংস গড়ে অর্ধশতক পেয়েছেন প্রায় ৩ বছর পর ওয়ানডেতে ফেরা এনামুল হক বিজয় ও বিরতি কাটিয়ে ফেরা মুশফিকুর রহিম। তাদের চারজনের ফিফটির ওপর ভর করে ৫০ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৩০৩ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ দল।
৩০৪ রানের লক্ষ্য টপকে জয় পেতে হলে রেকর্ড ভাঙতে হবে জিম্বাবুয়েকে। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৬১ রানের বেশি টপকে জয়ের রেকর্ড নেই তাদের। এই ৩০৩ রান অবশ্য বাংলাদেশের দলেরও রেকর্ড। হারারেতে এর আগে টাইগারদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল ৩০২ রান, যা ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করেছিল তামিমের দল।
শতকের সম্ভাবনা জাগিয়ে ব্যক্তিগত ৮১ রানে রিটায়ার্ড হার্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন। ৮৯ বলের ইনিংসে নয়টি চারের পাশাপাশি একটি ছক্কাও হাকান তিনি। এছাড়াও ৫২ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। তিনটি ছয় ও সাতটি চারের মারে ৬২ বলে ৭৩ রান করেন এনামুল হক বিজয়। আর ৬২ রান করেন ওপেনার তামিম ইকবাল।
স্বাগতিকদের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে হারলেও ওয়ানডে সিরিজের প্রথম খেলায়ই স্বাগতিকদের হারাতে মরিয়া টাইগাররা।
এদিকে, তামিম ইকবাল খান, বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার যিনি ওয়ানডে খেলায় ৮ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কোনো ফরম্যাটেই এমন কীর্তি নেই আর কোনো বাংলাদেশির।
শুক্রবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আট হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করেন অধিনায়ক ওপেনার। মাঠে নামার আগে এই ওয়ানডেতে ৮ হাজার রানের দেখা পেতে আর ৫৭ রান দরকার ছিল তামিমের। শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের ২৩তম ওভারে ক্যারিয়ারের ৫৪তম ফিফটির দেখা পান তামিম। পরের ওভারে জিম্বাবুয়ের পার্ট-টাইম স্পিনার সিকান্দার রাজার বলে দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আট হাজার রান স্পর্শ করেন এই ড্যাশিং হিরো।
৮ হাজারি ক্লাবের সদস্য হতে ২২৯ ম্যাচ খেলতে হলো তামিমের। এর মধ্যে ২২৭ ইনিংস ব্যাট করেছেন তিনি। এখন পর্যন্ত তার ব্যাটিং গড় ৩৭.০৫, স্ট্রাইক রেট ৭৮.৫৫। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তার ফিফটি সংখ্যা ৫৪টি, সেঞ্চুরি ১৪টি। তামিম আবার টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ৬৯ টেস্টে তার সংগ্রহ ৫ হাজার ৮২ রান।
ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রানের তালিকায় তামিমের অবস্থান ৩৩তম স্থানে। তবে বাংলাদেশের জার্সিতে সবার উপরে আছেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সাকিব আল হাসানের রানসংখ্যা ৬ হাজার ৭৫৫। আর ৬ হাজার ৬৯৭ রান নিয়ে তৃতীয় স্থানে অবস্থান মুশফিকুর রহিম।
তামিম শুধু ৮ হাজার রানেই দেশের প্রথম নন, এর আগে এই ফরম্যাটে ৪, ৫, ৬ এবং ৭ হাজার রানের মাইলফলকও তিনিই প্রথম পৌঁছে গিয়েছিলেন। মাইলফলক গড়ার পর বেশিদূর যেতে পারেননি তামিম। ৮৮ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলে রাজার বলে আউট হয়েছেন তিনি।
স/এষ্