ঢাকাবুধবার , ১২ অক্টোবর ২০২২
  1. Bangla
  2. chomoknews
  3. English
  4. অপরাধ
  5. অভিনন্দন
  6. আমাদের তথ্য
  7. কবিতা
  8. কর্পরেট
  9. কাব্য বিলাস
  10. কৃষি সংবাদ
  11. খুলনা
  12. খোলামত
  13. গল্প
  14. গাইড
  15. গ্রামবাংলার খবর

বরিশালে বেড়েই চলেছে আত্মহত্যার প্রবনতা

চমক নিউজ বার্তা কক্ষ
অক্টোবর ১২, ২০২২ ৬:৫০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বরিশালে বেড়েই চলেছে আত্মহত্যার প্রবনতা

মোঃ মোছাদ্দেক হাওলাদার, বরিশাল ॥ অসম বন্ধুত্ব, নেশার সহজ প্রাপ্যতা, পরিবারিক বন্ধনহীনতা, ধর্মীয় অনুশাসন না থাকা, আকাশ সংস্কৃতির অপব্যবহার, পারিবারিক উদাসীনতায় রাত জেগে কাটানোর কারণে জীবনের প্রতি উদাসীনতায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘটে যাচ্ছে আত্মহত্যার মতো অঘটন।

ফলে ক্রমেই বরিশালে আত্মহত্যার প্রবনতা বেড়েই চলেছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালে মেট্রোপলিটন এলাকায় মোট ১৫১টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ১০২টি বিষপানে আর ৪৯টি গলায় ফাঁস দিয়ে। একই এলাকায় ২০২১ সালে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ১৯৯টি। যারমধ্যে ১৩৮টি বিষপানে আর ৬১টি গলায় ফাঁস দিয়ে। এই দুই বছরের চেয়ে ভয়াবহ চিত্র এসেছে চলতি বছরের আট মাসে। অর্থাৎ ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মেট্রোপলিটন এলাকার চার থানায় ১৫০টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে সর্বোচ্চ ১৪০টি ঘটনা ঘটেছে কোতয়ালী মডেল থানা এলাকায়। বাকি ১২টির মধ্যে বন্দর থানায় চারটি, কাউনিয়া থানায় পাঁচটি এবং এয়ারপোর্ট থানায় তিনটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

সূত্রমতে, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৪৫২টি আত্মহত্যার ঘটনার মধ্যে ৩৫৬টি বিষপানে এবং ১৪৫টি গলায় ফাঁস লাগিয়ে। এক্ষেত্র বিষপানে আত্মহত্যা জন্য বিষের সহজ লভ্যতাকে দায়ী করেছেন সচেতন মহল। বিষের সহজলভ্যতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি উঠেছে।
মেট্রোপলিটন এলাকার বাহিরে জেলার দশ উপজেলায় প্রতিনিয়ত আত্মহত্যার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এসব আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে হতাশাগ্রস্থ তারুণ্যের সংখ্যা বেশি। এরপরে কিছু রয়েছে সংসারে অতৃপ্ত দম্পতি, দাম্পত্য কলহ, পরকীয়ায় আসক্তি ও প্রেমে ব্যর্থতা।

সচেতন নাগরিক কমিটির জেলা সভাপতি প্রফেসর শাহ সাজেদা বলেন, আত্মহত্যার লাগামহীন অশুভ শক্তির রশি টেনে ধরার সময় এসেছে। সম্প্রতি সময়ের একাধিক আত্মহত্যার ঘটনা মেনে নেয়া ছিলো কষ্টকর। তিনি আরও বলেন, আত্মহত্যার প্রবনতা কমিয়ে আনতে প্রথমেই পারিবারিক বন্ধন ফিরিয়ে আনতে হবে। এর ফলে সন্তানের মাথা থেকে একাকিত্ব দূর হবে। তাছাড়া সন্তানদের সাথে পরিবারের আলাপন বাড়াতে হবে। আকাঙ্খা আর উচ্চাকাঙ্খার ব্যবধান পরিস্কার করতে হবে। সংসারের আয় ব্যয়ের সীমাবদ্ধতার চর্চা করতে হবে। এতে করে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, আত্মহত্যার প্রবনতা কমাতে পাড়া ও মহল্লায় নিয়মিত ক্রীড়ার প্রসার ঘটাতে হবে। সাংস্কৃতিক বলয়ে নিয়মিত সমাজ সংস্কার নিয়ে বাস্তবধর্মী মোটিভেশন চালু রাখতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো যে সীমানার বাইরে পদচারনা ভুল আর যোগ্যতার বেশি দাবী করা, অন্যায় এমন সত্য সামনে তুলে ধরতে হবে।

এছাড়াও ছোট পরিবারের একাকিত্ব দূর করতে সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সবার আগে সন্তানকে বেঁচে থাকার মতো পরিবেশ সৃষ্টির প্রক্রিয়া ঘর থেকে শুরু করতে হবে। সব সন্তান বুয়েট, মেডিক্যাল আর বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলেই সে সুসন্তান হবে এমন ধারনা পাল্টে সন্তান যেখানেই পড়াশুনা করছে সেখানটায় তাকে উৎসাহিত করে তার মধ্যকার সুপ্ত প্রতিভা খুঁজে বের করে লালন পালনে যত্নবান হতে হবে। এতে করে কমতে পারে তারুন্যের হতাশা, বন্ধ হতে পারে আত্মহত্যার প্রবনতা।

স/এষ্