টঙ্গীবাড়ীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি মানছে না প্রার্থীরা
মাইমুনা আক্তার ।। মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে আগামী ২১শে মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের প্রচার প্রচারণা।
উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো উপজেলা। প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচার প্রচারণা ও ভোটারদের সমর্থন বাড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
তবে এই নির্বাচনী প্রাচারণায় প্রার্থীরা নানাভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচার- প্রচারণা। ভোটার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্বাচনে কোনরূপ শোডাউন করার বিধান না থাকলেও প্রার্থীরা শত শত কর্মী সমর্থকদের নিয়ে মিছিল এবং শোডাউন করছেন।
প্রার্থীরা ভোট কেন্দ্রগুলোতে বিপুল পরিমান ভোটারদের উপস্থিতি ঘটানোর মতো গণসংযোগ করছেন না।হাটবাজার ও প্রধান সড়কে মিছিল, মোটরসাইকেল শোডাউন দিচ্ছেন।
মোটরসাইকেলের হর্নের শব্দে মানুষের কান জ্বালাপালা হয়ে যাচ্ছে। অনেক সময় সড়কে যানজটের সৃষ্টি করছে। এতে করে সাধারণ মানুষ যানজটের কবলে পড়ছেন। শত শত মোটর সাইকেল নিয়ে সড়কে ধাবিয়ে বেড়াচ্ছেন । এতে করে এক দিনে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি ।
অপরদিকে ভোটার ও স্থানীয়দের মাঝে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, টঙ্গীবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের একাধিক প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা রাস্তায় মোটরসাইকেলে শো করছেন।
সেই শোডাউনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ প্রচার করছেন। হই হুল্লোর আর শব্দ দূষণ করে পরিবেশ উত্তপ্ত করে তুলছেন। একজন প্রার্থীর সাথে শত শত লোকজন রাস্তায় মিছিল, পথসভা করে ভোট প্রার্থনা করছেন।
ভোটার ও স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা জানান, প্রার্থীরা অনেকে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে না গিয়ে সড়কে মিছিল ও ব্যাপক লোকজনের উপস্থিতি ঘটিয়ে করছেন গণসংযোগ। কার থেকে কে বেশি লোকজন আর বেশি পরিমান মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন করবে এ নিয়ে রীতিমত প্রতিযোগিতা চলছে।
নির্বাচনি প্রচারণার জন্য প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও গভীর রাত পর্যন্ত চলছে প্রচারণা।শোডাউন করতে বিধিনিষেধ থাকলেও তা অমান্য করে মোটর সাইকেল শোডাউন করে তা প্রতিদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ প্রচার করছেন বিভিন্ন প্রার্থীদের সমর্থকরা।
নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণার জন্য সুস্পষ্ট নিয়ম কানুন রয়েছে। নির্বাচনি প্রচারকার্যে যানবাহনের ব্যবহার সংক্রান্ত বাধানিষেধ, নির্বাচনি প্রচারণার জন্য একটি ইউনিয়নে মাত্র একটি মাইকের ব্যবহার, প্রতি ইউনিয়নে মাত্র একটি নির্বাচনি ক্যাম্প স্থাপন, দেওয়াল লিখন সংক্রান্ত, পিভিসি ব্যানারের ব্যবহার সংক্রান্ত বা নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীরা নির্বাচনের আচরণবিধি লংঘন করছেন।
এছাড়াও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বাস, অটো রিক্সা, সিএনজি, হোটেল , রেস্তোরা, বিদ্যুতের খুঁটিসহ বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীদের প্রতীক সম্বিলিত পোষ্টার ও আটা যুক্ত স্টিকার যেখানে সেখানে সাটিয়ে দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসাইন বলেন,আচরণবিধি লঙ্ঘনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মাঠে ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করছে।
তাদেরকে বলা হয়েছে আচরণবিধি লঙ্ঘনে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। আমরা খবর পাওয়া মাত্রই আচরণবিধির দায়িত্বে থাকা ম্যাজিস্ট্রেটরা ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
স/এষ্